শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দলের শহিদ স্মরণ (TMC Martyrs Day) অনুষ্ঠান ঘিরে সাজ সাজ রব গোটা রাজ্যে। সেই আবহে ক্য়ানিংয়ে (Canning News) 'মহামিছিল' বার করল তৃণমূল। তাতে নেতৃত্ব দেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা। তাতে শামিল হন কয়েক হাজার তৃণমূল (TMC) কর্মী-সমর্থক। গাড়ি, বাইক নয়, হেঁটে মিছিল এগোয়। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ পেরোন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।


২১ জুলাই.য়ের আগে ক্যানিংয়ে 'মহামিছিল' তৃণমূলের


দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার জীবনতলার ঘটনা। ২১ জুলাই (21 July), শহিদ স্মরণ দিবস উপলক্ষে সেখানে ক্য়ানিং ২ নম্বর এলাকার যুগ তৃণমূলের তরফে এই 'মহামিছিল'-এর আয়োজন করা হয়। বুধবার সকালে জীবনতলার সদানন্দের মোড় থেকে জীবনতলা বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পথ পার করে মিছিল। হেঁটেই তাতে যোগ দেন দলে দলে কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলে দাবি, 'মহামিছিল'-এ প্রায় ১৫ হাজার কর্মী-সমর্থক শামিল হন। 


করোনা কালে, দু’বছর পর ধর্মতলায় ফের তৃণমূলের শহিদ স্মরণ সমাবেশ বসছে। তার আগে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। জেলা থেকে গতকালই দলে দলে আসতে শুরু করেছেন নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র-সহ বিভিন্ন জায়গায় সকলের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বারের সমাবেশে 'রেকর্ড ভিড় হবে' বলে দাবি তৃণমূলের। 


আরও পড়ুন: Howrah 'Hooch Death' : মদ-লটারিতে শেষ হচ্ছে বাংলা, কটাক্ষ সুকান্তর, মদের রাজস্বেই চলছে রাজ্য, খোঁচা সুজনের


তবে এ বারের শহিদ স্মরণ সমাবেশে নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্যের কাছে কতজন পুলিশ মোতায়েনরয়েছে জানতে চাওয়া হয়েছে। কারা আসছেন, ট্রাফিক রুট নিয়ে কী কী পরিকল্পনা, তার বিশদ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারকে প্রশ্ন করা হয়েছে, ২১ জুলাই উলুবেড়িয়ায় সভা করার জন্য বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিজেপি যে অনুমতি চেয়েছিল, সেটা বিকেল ৪টের পরিবর্তে রাত ৮টা থেকে করার অনুমতি দিলে রাজ্য পুলিশের বন্দোবস্ত করতে কোনও অসুবিধা হবে কিনা।  


দুই বছর পর মহা সমারোহে শহিদ স্মরণ তৃণমূলের


সম্প্রতি কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাডি়তে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। তাই শহিদ স্মরণ সভায় তাঁর নিরাপত্তায় বিশোষ জোর দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেত্রীর মঞ্চে প্রবেশের জন্য, পৃথক গেট বসানো হচ্ছে। থাকছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। বুধবার সকালেই দলে দলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় করতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার ছবিও ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়।