পার্থপ্রতিম ঘোষ, হিন্দোল দে ও অনির্বাণ বিশ্বাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : আলোর উৎসবের পরদিনই গভীর অন্ধকারে ডুবে গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগরের দুলয়াখাকি গ্রাম। তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের পর যে গ্রামে চড়াও হয়ে বেছে বেছে সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগানো এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর এই গোটা ঘটনায় নিষ্ক্রিয়তার মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে ! 


গ্রামবাসীদের দাবি, প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে দলুয়াখাকি গ্রামে তাণ্ডব চলে। একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। এবং গোটাটাই একেবারে পরিকল্পনামাফিক করা হয় বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এতটা সময় ধরে তাণ্ডব চললেও পুলিশ তা আটকাতে পারল না কেন ? এতক্ষণ ধরে কী করছিল তারা ?


এর মধ্য়েই গ্রামবাসীদের অনেকে আবার দাবি করেছেন, ভাঙচুর এবং আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে পুলিশের সামনেই ! যার পর আর গ্রামে থাকার সাহসও পাচ্ছেন না তাঁরা। ক্ষতিগ্রস্ত সিপিএম সমর্থক ও দলুয়াখাকি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, কী করব পুলিশের উপর ভরসা নেই। ওদের সামনেই তো এসব হয়েছে।


আর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন ঘিরে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরাও। ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি বলেছেন, 'ঘটনাচক্রে যে বাড়িগুলিতে দেখে দেখে, যারা সিপিএম সমর্থিত যারা, তাঁদের বাড়িতে আগুন লাগানো হল। এটা মোটেও কাম্য় নয়। একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে, সেখানেও পুলিশের আটকানোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এটাও শুনলাম যে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িকেও না কি সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। এই এতগুলো বিষয় নিয়ে কিন্তু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আক্রমণ, 'তৃণমূলের উপর হাত দিলে, তার রিঅ্যাকশন তো হবেই। কিন্তু প্রশাসন কী করছে ? কে দোষী, কে নির্দোষ, সেটা তো প্রশাসনের দেখা দরকার। স্বাভাবিকভাবেই তার পরিণাম ভয়ঙ্কর!'


পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও এই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বারবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কয়েকমাস পর জয়নগরকাণ্ডেও, সেই জেলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই !                                  


আরও পড়ুন- 'হাত ধরে গান করুন এই জেল যদি না শেষ হয়', পার্থ-জ্যোতিপ্রিয়কে কটাক্ষ সুকান্তর