গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কাকদ্বীপে (Kakdwip) বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নদী বাঁধে ধস। প্রায় ৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ধস নিল নদী বাঁধ। ২০০ মিটার এলাকা এখনও বিপদজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।তাই এবার আর ঝুঁকি না নিয়ে অন্যত্র সরানো হল বাসিন্দাদের।


এদিকে আজও অমাবস্যার কটালে নদীতে জল বাড়ার সম্ভাবনা..


রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরেন্দ্রনগর গ্রামে। গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি সহ এলাকাটিতে ধস নেমেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বর্ষার সময় গোবদিয়া নদীর এই বাঁধটি ধস নিয়েছিল। সেই সময় বাঁধটি মেরামত করা হয়। রবিবার সকাল থেকে নদী বাঁধটিতে পুনরায় অল্প অল্প ফাটল ধরতে থাকে। সন্ধ্যা নাগাদ পুরোপুরি ধস নিয়ে নদীগর্ভে চলে যায়। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নদী বাঁধের কাছাকাছি থাকা বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেচ দপ্তরকে দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাতেই কাকদ্বীপ বিডিও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। আজও অমাবস্যার কটালে জেরে নদীতে জল বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ব্লক প্রশাসন।


গঙ্গা ভাঙনের মুখেও অতীতে একাধিক জেলা


তেইশ সালে গঙ্গা ভাঙনের মুখে পড়েছিল মালদা। মালদার মানিকচকের ভুতনি চর এলাকায় আচমকা ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছিল এক সকালে। কয়েকশো মিটার অংশ জুড়ে চলছিল ভাঙ্গন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বাঁধের একাংশ। এলাকা থেকে ফসল নিয়ে পালাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভুতনির উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুটনটোলা ও কেশরপুরে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছিল। আতঙ্কে কাঁটা হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাইশ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুতেও এমন ভয়াবহ ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিল মালদা।


আরও পড়ুন, 'সন্দেশখালির সঙ্গে আছি..', বিধানসভার মাটিতে বসে প্রতিবাদ শুভেন্দুদের


মূলত ভূতনির চরে ভাঙন ধরাচ্ছে গঙ্গা ও কোশি নদী।  মানিকচকের পাশাপাশি, গতবছর ভাঙন চলেছিল রতুয়াতেও। বিলাইমারি ও মহানন্দাটোলা এলাকায় কোশি নদীর পাড়ে ভাঙন ধরে। নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল কৃষি জমি।গঙ্গার পাশাপাশি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিল সেবার কোশি নদীও। যার জেরে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গিয়েছিল মালদায়। গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল বাঁধের ১০০ মিটার অংশ। মালদার মানিকচকের ভুতনির চরের কালুটন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। আতঙ্কে সেসময়ও অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়ে যায় চার-চারটি বাড়ি। খবর পেয়ে সেসময় ঘটনাস্থলে  পৌঁছে যান সেচ দফতরের কর্মীরা।