পার্থপ্রতিম ঘোষ ও জয়ন্ত রায়, কলকাতা: সাতসকালে আচমকা বিস্ফোরণ উড়ে গিয়েছিল বাড়ি। মহেশতলার ওই ঘটনায় আশঙ্কাজনকভাবে জখম হয়েছিলেন একই পরিবারের ৫ জন। সেই ঘটনায় কলকাতার এসএসকেএম-হাসপাতালে মারা গেলেন সেই পরিবারের গৃহকর্তা। মৃতের নাম সন্দীপ যাদব। এসএসকেএম সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তির স্ত্রী এবং তিন সন্তানের অবস্থাও অত্য়ন্ত আশঙ্কাজনক।

  


আগে কী ঘটেছে:
বুধবার ভোররাতে রবীন্দ্রনগরে ভাড়াবাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় ঝলসে গিয়েছিলেন সন্দীপ যাদব, তাঁর স্ত্রী রানি ও তিন সন্তান। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক। 


কেন বিস্ফোরণ:
সূত্রের খবর, চা বানানোর জন্য গ্যাস জ্বালাতে যেতেই তীব্র বিস্ফোরণ হয়। বুধবার ভোরের ওই ঘটনায় ৩ সন্তান-সহ ঝলসে যান দম্পতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার রবীন্দ্রনগরের ওই বাড়িতেই ১১ বছর, ৭ বছর ও ৬ বছরের ৩ ছেলেমেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতেন সন্দীপ যাদব ও তাঁর স্ত্রী রানি। পুলিশ সূত্রে দাবি, বুধবার, ভোর ৩ টে বেজে ৪৫ মিনিট নাগাদ ঘুম থেকে উঠে চা বানাতে যান সন্দীপ। সেই সময় চায়ের জল বসানোর জন্য গ্যাস জ্বালাতে যান। তখনই বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় স্ত্রী ও তিন সন্তান ঘুমোচ্ছিলেন। বিস্ফোরণের ফলে সকলেই ঝলসে যায়। বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে ভেঙে যায় ঘরের দরজা। 


 






পুলিশের অনুমান:
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনওভাবে গ্যাস লিক করে ঘরে ভেপার ক্লাউড তৈরি হয়েছিল। সেই সময় ঘরের দরজা ও জানলা বন্ধ ছিল, ফলে বাইরে বেরোতে পারেনি গ্যাস। সেই পরিস্থিতিতে লাইটার জ্বালতেই বিস্ফোরণ ঘটে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক দল। বিস্ফোরণের জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি গ্যাস সিলিন্ডার ও ওভেন বাজেয়াপ্ত করে। ফরেন্সিক আধিকারিক দেবাশিস সাহা বলেন, 'প্রাথমিক অনুমান সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ঠিকমতো রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে।'


আরও পড়ুন; জামার কলার ধরে চলে টানা, ধাক্কা, মুর্শিদাবাদের সিএমওএইচকে নিগ্রহের অভিযোগ, রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে