হিন্দোল দে ও জয়ন্ত রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : মহেশতলায় (Maheshtala) ঠাকুমা ও নাতি খুন। জিনজিরা বাজার (Jinjira Bazar) তদন্ত কেন্দ্রের পাশে বাড়ি থেকে উদ্ধার ২ জনের রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের ফলেই মৃত্যু হয়েছে মায়া মণ্ডল ও সনু মণ্ডলের। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন, দাবি মৃতার ভাইয়ের। গৃহশিক্ষক ও মৃত বৃদ্ধার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ (Police)। 


মহেশতলায় জিনজিরা বাজারে ঠাকুমা ও নাতি খুন। জিনজিরা বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পাশে বাড়ি থেকে উদ্ধার বছর ষাটের মায়া মণ্ডল ও বছর বারোর সনু মণ্ডলের রক্তাক্ত দেহ। শুক্রবার বিকেলে পড়াতে এসে ঘরে মৃতদেহ প়ড়ে থাকতে দেখেন গৃহশিক্ষক। মহেশতলা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ২ জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মৃত বৃদ্ধার ভাইয়ের অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন করা হয়েছে। মৃতার ভাই আশিস নস্কর বলেছেন, 'আমার নাতিকে আর বড়দিকে খুন করে দিয়েছে। এটা দীর্ঘদিনের সম্পত্তি নিয়ে গন্ডগোল। সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন বিবাদ। মামলাও চলছে।'


পুলিশ সূত্রে খবর, ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করার ফলে মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার ছেলে শেখর মণ্ডলের দুটি বিয়ে। তা নিয়ে বিবাদ কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


আরও পড়ুন- প্রাথমিকে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল, ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ


কয়েক সপ্তাহ আগেই যুবকের রক্তাক্ত দেহ (Blood Drenched Body) ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)। ভোরের আলো ফোটার আগেই বিষ্ণুপুর থানার আমতলা অটো স্ট্যান্ডের পাশে দেহটি (Body Recovery) উদ্ধার হয়। পরিবার ও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মদের আসরে বচসার জেরে খুন হয়ে থাকতে পারেন যুবক।  মৃতের নাম বিনোদ সাউ। ওই এলাকাতেই ভাড়া থাকতেন তিনি। বছর চল্লিশের বিনোদের পরিবার জানাচ্ছে, গতকাল রাতে বাড়ি ফেরেননি তিনি। আর এদিন ভোরে তাঁর মৃত্যুসংবাদ পায় পরিবারের লোকজন। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, তাঁকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। যুবকের মাথাও থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল।    


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?