রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাজপাখির হামলায় ঘর ভাঙল মৌমাছিদের (Honey Bee)। আর তার জেরে ঘুম ছুটলো জয়পুর গ্রামের (Joypur Village) বাসিন্দাদের। মৌমাছির হামলায় (Honey Bee Attack) আক্রান্ত প্রায় ৫০ জনের বেশি গ্রামবাসী। ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জিরানগাছা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পাকাপোল ভাঙড় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে কাঠের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখায় গ্রামবাসীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
শুক্রবার সকালেই জয়পুর গ্রামের একটি বিশাল মৌচাকে হামলা চালায় বাজপাখি। আর সেই ঘটনার পর ভেঙে পড়ে মৌচাকটি। মৌচাক ভেঙে পড়ার পর মৌমাছিরা জয়পুর গ্রামের রাস্তা দিয়ে যারা যাচ্ছিল তাদেরকেই কামড়াচ্ছিল। এই ঘটনায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অনেক গ্রামবাসীরা আক্রান্ত হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ব্যস্ততম রাস্তার পাশেই মৌচাক ভেঙে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষজন। খবর পেয়ে কাশিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কাশিপুর থানার পুলিশ গিয়ে রাস্তা অবরোধ তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে ঘটনার পর থেকে কার্যত আতঙ্কে ঘরবন্দী হয়ে আছে গ্রামের মানুষজন।
বছরটা ২০২১। 'আতঙ্ক'-এর অপর নাম হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেবার দুর্গাপুরের সরকারি মহাবিদ্যালয়ের পাশের রাস্তা। মাস খানেক আগে এক জনের মৃত্যু হয় সেখানে, একইসঙ্গে আক্রান্ত হন আরও বেশ কয়েকজন। ফের সেই একই সমস্যা দেখা দেয়। কী সেই সমস্যা? মৌমাছি (Honey Bee)। হ্যাঁ, মৌমাছির কামড়েই আক্রান্ত হন একের পর এক গ্রামবাসী। মৌমাছির কামড়ে শুক্রবার আক্রান্ত হন এক প্রৌঢ় সহ আরও এক-দুই জন। ওই একই জায়গার ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁদের। উদ্যোগ নেন স্থানীয়রাই।
আরও পড়ুন, সাংবাদিক বৈঠকে উঠল 'কুন্তল' প্রসঙ্গ, কাকে 'দালাল' বললেন শিক্ষামন্ত্রী ?
দুর্গাপুরের সরকারি মহাবিদ্যালয়ের পাশে প্রতিনিয়ত মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত হন বহু মানুষ। ফুলঝোর এলাকা থেকে পাশের এক কলোনি এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে কাজে যাচ্ছিলেন বৈদ্যনাথ রায় নামে ওই প্রৌঢ়। সরকারি মহাবিদ্যালয়ের পাশের রাস্তায় আচমকা এক ঝাঁক মৌমাছি ওই প্রৌঢ়কে ছেঁকে ধরে। তাঁর গোটা শরীরে মৌমাছিগুলি বিঁধে ধরে কানের ভেতর পর্যন্ত ঢুকে যায়। এর ফলে ওই স্থানেই পড়ে যান বৃদ্ধ। এরপর তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে পাশের ক্লাবে নিয়ে যান। পরে তারাই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই বৃদ্ধকে।