রঞ্জিত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে আবারও আইএসএফ তৃণমূলের মধ্যে মারধরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। আইএসএফ নেতা অহিদুল মোল্লার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পালটা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ আইএসএফের বিরুদ্ধে। 

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, অশোকনগরে দশমীর ভোরে উদ্ধার প্রাক্তন সেনাকর্মীর মেয়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ ! কেন পালিয়ে গেলেন সঙ্গীরা ?

Continues below advertisement

দুপক্ষই উত্তর কাশিপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা অহিদুল মোল্লা সোস্যাল মিডিয়ায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক সওকত মোল্লার নামে কুরুচিকর মন্তব্য করে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় ভাঙড়ের কাটাতলা এলাকায় আইএসএফ নেতার বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা।সেখানেই দুপক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। 

আইএসএফের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা অহিদুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে।। আইএসএফ করে বলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পালটা তৃণমূল নেতাদের দাবি সওকাত মোল্লার নামে কুরুচিকর মন্তব্য করায় প্রতিবাদ জানালে অহিদুলের নেতৃত্বে তৃণমূলের উপর হামলা চালানো হয়। ঘটনায় উভয় পক্ষ উত্তর কাশিপুর থানায় অভিযোগ জানাতে আসলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। 

গতমাসেই ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল ISF-এর বিরুদ্ধে। ১২ জন ISF নেতা কর্মীর নামে পোলেরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল ISF। কারও মাথা ফেটে গিয়েছিল কারও আবার হাত কেটে ঝরছিল রক্ত। ISF-তৃণমূল সংঘর্ষে মঙ্গলবার রাতে এভাবেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়ের হাতিশালা। তৃণমূল কর্মীদের দাবি, স্থানীয় এক চায়ের দোকানে গল্প করছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, আচমকা তাঁদের ওপর চড়াও হয় ISF-এর স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। আগ্নেয়াস্ত্র, কোদালের বাঁট দিয়ে চলে এলোপাথাড়ি মার।  ঘটনায় ১২ জন ISF নেতা কর্মীর নামে পোলেরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল তৃণমূল। 

ভাঙড়ের আহত তৃণমূল কর্মী  আশরাফুল মোল্লা বলেছিলেন, ISF-এর লোকজন মেরেছে,  আমরা তৃণমূল করি বলে (মেরেছে)। ৭ থেকে ৮ জন ছিল। বন্দুক দিয়ে মেরেছে, হাঁসুয়া ছিল ওদের হাতে, কোদালের বাট ছিল।যদিও অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছিল ISF. ISF  জেলা পরিষদ  সদস্য রাইনুর হক বলেছিলেন, হাতিশালায় তৃণমূলের যারা নেতা, নেতৃত্ব আছে, ওখানে জমায়েত হয়, এই ঘটনা ঘটিয়ে সম্পূর্ণটা ISF-এর উপরে চাপানোর চেষ্টা করছে, পুলিশ প্রশাসনকে বলব,নিরপেক্ষ তদন্ত করুন, এই ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। তৃণমূল-ISF সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়ের হাতিশালা। মঙ্গলবার ফের সেখানে উত্তেজনা!২ পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল!অর্থাৎ, ভাঙড় আছে সেই ভাঙড়েই!