শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কামাখ্যাপুরে (Kamakhyapur) দিদির সুরক্ষা কবচ ও জন সংযোগ কর্মসূচি থেকে তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থানার শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সোমবার দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন হয়।সোমবার বিকালে এই কর্মসূচি উপলক্ষে জন সংযোগ সভার আয়োজন করা হয়।এই জন সংযোগ সভা থেকে দলের পঞ্চায়েত প্রধান বরুণ প্রামাণিক ওরফে চিত্ত প্রামাণিকের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আনেন, শম্ভু নগর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি পরিতোষ হালদার। যদিও পাল্টা অঞ্চল সভাপতিকে 'তোলাবাজ ও দুষ্কৃতী', আখ্যা দেন পঞ্চায়েত প্রধান।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এর আগেও একাধিকবা গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। সদ্য হাওড়ার (Howrh) বাঁকরা মন্ডলপাড়া এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Clash) এবং মারামারির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। জখম হয়েছে কয়েকজন। বাঁকড়া এক নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান আখতার হোসেন মোল্লা ও পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল সামাদ গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলার ঘটনা ঘটে। এলাকায় উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। আটক (Deatin) করা হয়ে একাধিকজনকে।
পাশাপাশি গত বছরের শেষ থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের একাধিক উদাহরণ রয়েছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি, খড়গপুর, মেদিনীপুরের পর পূর্ব বর্ধমানের কালনায় গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসে। শাসকদলের নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন সেসময় তৃণমূলেরই (TMC) কাউন্সিলররা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্য়ানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন দলের কাউন্সিলররা।
বাইশ সালের সেপ্টেম্বরে আরও একটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তবে এই ঘটনা আরও একধাপ এগিয়ে যায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় গুলিবর্ষণের ঘটনা পর্যন্ত ঘটে। তৃণমূলের ২ নেতার অনুগামীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছিলেন। সেসময় আহতদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কামারহাটি ESI হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছিল, যদিও কামারহাটি থানা সেই অভিযোগ স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন, 'পিসি-ভাইপোকে গ্যারাজ করব', নন্দীগ্রাম দিবসে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
এলাকা দখল ও তোলাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা মূলত ছড়িয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে। দলের এক নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধেই তোলাবাজি ও হামলার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। সংঘর্ষে জখম হন দলের কয়েকজন কর্মীও। কামারহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিযোগ, গুড্ডু নামে আরেক তৃণমূল কর্মীর অনুগামীরা এলাকায় তোলাবাজি করে। যাকে কেন্দ্র করে ক্রিক স্ট্রিটে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গোষ্ঠী।