রঞ্জিত হালদার,দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জালনোট-সহ গ্রেফতার দম্পতি। সোনারপুর থানা এলাকার (Sonarpur Thana Area) তেমাথা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জাল নোট।ধৃতদের আজ বারুইপুর আদালতে (Baruipur Court) পেশ করা হবে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাজেশ মন্ডল ও রুবি মন্ডল নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪৮৯এ ও ৪৮৯সি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকার জালনোট। এই টাকা তারা কোথা থেকে পেল তা খতিয়ে দেখছে সোনারপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে।
অপরদিকে, কলকাতা বিমানবন্দরে উদ্ধার হল ৯ কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে এক যাত্রীর কাছ থেকে ৯ কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছে কাস্টমস ।এত বিদেশি মুদ্রা দেখে চক্ষু চড়কগাছ নিরাপত্তারক্ষীদের। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দুবাইগামী বিমান ধরার কথা ছিল ওই ব্যক্তির। সম্প্রতিকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে এত পরিমাণ বিদেশী মুদ্রা উদ্ধার প্রায় নজিরবিহীন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
চেকিং করার সময় গৌতম রবিশংকর নামক ওই ব্যক্তির ব্যাগে ৪১ টি খামের সন্ধান মেলে। সন্দেহ হওয়ায় বিমানবন্দরে নিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁর ব্যাগ খুলে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। পরীক্ষা করার সময় খাম গুলি খুললে দেখা যায় খামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা। এত বিদেশি মুদ্রা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় নিরাপত্তারক্ষীদের। তৎক্ষণাৎ ঐ ব্যক্তিকে তুলে দেওয়া হয় শুল্ক দফতরের হাতে। শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে এতো বিদেশি টাকা তার কাছে এল কী করে।
আরও পড়ুন,'চোরেদের রাণী কে ?' আলিপুরদুয়ারের সভায় প্রশ্ন শুভেন্দুর
রাজ্যের এই বিমানবন্দরে সদাই কড়া নজর রাখে নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। কোভিড নিয়ে কম কড়াকড়ি নয়। তবে দাঁতের ফাঁকে হিরে, পেনের রিফিলে-প্যান্টের বেল্টে হিরে পাচার তো আকচার লেগে আছেই। সেই সঙ্গে কোটি কোটি টাকার মাদক পাচার থেকে শুরু করে সোনার বাট কিছুই যায় না বাদ। স্বাভাবিকভাবেই নজর রাখতে হয় বইকি। এমন কি তেজক্রিয় মৌল নিয়েও কম ঝক্কি পোয়াতে হয়। একেবারে এই কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই একবার উদ্ধার হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়াম। উদ্ধার হওয়ার সেই ক্যালিফোর্নিয়ামের বাজারদর ছিল ৪ হাজার কোটির টাকার উপরে। দামী তো বটেই, তার থেকেও বড় কথা জনসমক্ষে একেবারে তেজক্রিয় মৌল ! তাই সদাই চোখটা খোলা রাখেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।