রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোনারপুরে শ্যুটআউটকাণ্ডে (Shoot out) গুলিবিদ্ধ অবস্থায়  লাল্টু হাজরা নামে এক যুবকের দেহ (Dead Body) উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলির খোল ও দুরাউন্ড গুলি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।


ফিরহাদ এদিন বলেন, 'এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, বাংলা। বাংলায় অপরাধের তদন্ত হয়।' প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নয়, আগেও একাধিক ইস্যুতে যোগী রাজ্যকে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। এদিকে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে, একের পর এক অপরাধের ঘটনায় যখন জেরবার শাসকদল, ফের সোনারপুরে শ্যুটআউটকাণ্ডে পাল্টা নিশানা করলেন তিনি।


জানা গিয়েছে, চারবন্ধু কামরাবাদের ময়ুখ ভট্টাচার্যর বাড়িতে মাঝেমধ্যে রাতে এসে থাকত। অন্য বন্ধুরা না আসায় গতকাল রাতে লাল্টু হাজরা একাই ছিল। বিশ্বজিৎ সরকার নামে এক বন্ধুর সঙ্গে রাত ১২ টা ১৫ নাগাদ কথা হয়। বিশ্বজিৎ রাত্রি ২ টো ১৫ মিনিট নাগাদ বাড়িতে এসে দেখে ঘরে রক্তাক্ত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। তারপরেই পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।


সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভাস্থলের কাছেই ‘শ্যুটআউট’-র ঘটনা ঘটে। ডায়মন্ড হারবারের কপাটহাটে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে ‘গুলি’। আত্মীয়ের বিয়ে বাড়িতে হঠাৎ পিস্তল বের করে শূন্যে ‘গুলি’। হঠাৎ ‘গুলি’, আতঙ্কে নিমন্ত্রিতদের মধ্যে হুড়োহুড়ি। পুলিশ আসার আগেই অভিযুক্ত বাপ্পা মোল্লা পলাতক, দাদা গ্রেফতার। প্রণয়ঘটিত কারণে হঠাৎ বিয়েবাড়িতে গুলি, দাবি পুলিশ সূত্রে।


স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ডায়মন্ড হারবারের কপাটহাটে একটি বিয়েবাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠান চলাকালীন হঠাৎই গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে নিমন্ত্রিতদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যে যাঁর মতো ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। গুলির আওয়াজ শোনা যায়। লক্ষ্যে নয়, শূন্য়ে গুলি চালানো হয় বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর।  ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। বিয়ে বাড়িতে উপস্থিতদের থেকে ঘটনার বিবরণ নেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন, রেলের কাজে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক কর্মীর, প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ


পঞ্চায়েত ভোটের এখনও বেশ কয়েক মাস বাকি। কিন্তু তার আগেই হুমকি-হুঁশিয়ারির যুদ্ধ যেমন শুরু হয়েছে, তেমনই ঝরতে শুরু করেছে রক্তও। ফের ঘটনাস্থল বীরভূম।  রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক সংঘর্ষে লাল রক্তে ভেসে গিয়েছে লাল মাটির জেলা। তৃণমূলের গোষ্ঠী-বিবাদের জেরে বোমাবাজির পর,  থমথমে সাঁইথিয়ার বহড়াপুর গ্রাম। অন্যদিকে, বহড়াপুর গ্রামে পুলিশি টহল চলছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। গোটা গ্রাম পুরুষ শূন্য। অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের নিয়ে গ্রাম ছেড়েছেন মহিলারাও।