দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মহেশতলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুঠের কিনারা করল পুলিশ। এক দম্পতি-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল CID, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি ও হাওড়ার উলুবেড়িয়া থেকে উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া ৭৫ লক্ষ নগদ ও কয়েক কোটির গয়না। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আরিফ হোসেন মহেশতলার SBI শাখার চতুর্থ শ্রেণির অস্থায়ী কর্মী। ২ মাস আগে তার কাজ চলে যায়। এই ঘটনায় প্রাক্তন অস্থায়ী কর্মী, তার স্ত্রী ও ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 




গত ২৫ নভেম্বর মহেশতলার এসবিআই শাখার লুঠ ও চুরির কিনারা করল ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। উদ্ধার চুরি যাওয়া সমস্ত টাকা ও এবং গহনা। গ্রেফতার ডি গ্রুপ কর্মী ও তার স্ত্রী সহ তিন জন। এসবিআই শাখার সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া না গেলেও, পার্শ্ববর্তী এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজেই মেলে সাফল্য। সিসিটিভি ফুটেজকে হাতিয়ার করেই তদন্তে নেমেছিল মহেশতলা থানার তদন্তকারী আধিকারিক। ফুটেজে দেখা যায় ওই চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী এবং তার স্ত্রীকে। গতকাল ভোর রাতেই এদেরকে গ্রেফতার করে মহেশতলা থানার তদন্তকারী আধিকারিক।


জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়া থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া সমস্ত টাকা এবং গহনা। তবে দম্পতি সহ বাকি একজনকে কোথা থেকে আনা হয়েছে সেটা পুলিশ এখনও জানায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সমস্ত ঘটনা জানানো হবে। তার আগেই ডায়মন্ড জেলা পুলিশের সুপার রাহুল গোস্বামী-সহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লান কুসুম ঘোষ এবং এসডিপিও কামরুজ্জামান মোল্লা। গ্রেফতার হওয়া ওই চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে কোথা দিয়ে তাঁরা ঢুকেছিল এবং কোথা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল , তা দেখার চেষ্টা করে জেলা পুলিশ।




পুলিশের জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, বছর দেড়েক আগে ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজারের বিশ্বস্ত কর্মী ছিলএই অভিযুক্ত। সেই সুযোগেই সমস্ত চাবিই সে নকল তৈরি করে নেয়। আজ রবিবার হলেও ব্যাঙ্কের সমস্ত কর্মচারীকে ব্যাঙ্কে আসার জন্য ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ থেকে তলব করা হয়। তবে চতুর্থ শ্রেণীর ওই কর্মী এখনও এসবিআই -এর এই শাখায় কাজ করত কিনা তা জানা যায়নি।


আরও পড়ুন, হিন্দু দেখলেই বাংলাদেশে হামলা! রেহাই নেই মহিলা সাংবাদিকেরও!


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।