সুকান্ত দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যে জলে নেমে মৃত্যু ঘটনা ভুরিভুরি (Accident)। গঙ্গা, দামোদর হোক কিংবার দীঘার সমুদ্রে নেমে তলিয়ে যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে চলতি বছরে। পুকুরে স্নান করতে নেমে মৃত্যু হয়েছে দুই নাবালিকার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বকুলতলা থানার শাহাজাদাপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে (Bakultala Police Station)।


জানা গিয়েছে, একই পাড়ার দুই নাবালিকা পাড়ার মধ্যে আজ একটি পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে পুকুর থেকে তাঁদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় শ্রীরামকৃষ্ণ গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে পৌঁছয় বকুলতলা থানার পুলিশ। দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। দুই নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 


প্রসঙ্গত, তেইশের শুরুতেও মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল রাজ্য।   মূলত ধনিয়াখালীর নিশ্চিন্ত পুর এলাকার দামোদর নদের চড়ে বন্ধুদের সাথে পিকনিক করতে গিয়েছিল ধনিয়াখালীর গোপীনগরের নীলাঞ্জন বোস। এরপর দামোদর নদে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিল নীলাঞ্জন। একুশ সালেও নদীতে ডুবে একাধিক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নদীতে ডুবতে থাকা বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছিল সালানপুর থানার বরাকর নদীর বৃন্দাবন ঘাটে।


পুলিশ জানায়, রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা ছয় কিশোর মাইথন সংলগ্ন বৃন্দাবন ঘাটে ঘুরতে যায়। সেখানে নদীতে স্নান করতে নামে সৌভিক নামে এক কিশোর। সে ডুবে যাচ্ছে দেখে তাকে বাঁচাতে জলে নেমে পড়ে যশরাজ তেওয়ারি ও আরও এক বন্ধু। তিনজনেই ক্রমে তলিয়ে যেতে থাকলে সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীরা উদ্ধারে নেমে পড়ে। তিনজনকেই উদ্ধার করা হয়। কিন্তু, যশরাজকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।


আরও পড়ুন, দরজা খুলতেই দুর্গন্ধ, মেঝেতে পেতে রাখা চৌকি সরাতেই দেখা গেল দেহাংশ !


দামোদরে স্নান করতে গিয়ে নীলাঞ্জনের মতোই তলিয়ে যান বোলপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বিশাল দাস। মাসির ছেলের সঙ্গে  দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদরের বর্ধমান ক্যানেলে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে যান বছর ঊনিশের বিশাল।  বসিরহাটের স্বরূপনগরে ইছামতীর খাল থেকে উদ্ধার হয় আইটিআই পড়ুয়ার দেহ। অন্যত্র খুন করে দেহ এখানে ফেলা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করে পুলিশ। পরিবারের দাবি,  সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিলেন উৎপল বিশ্বাস নামে ওই যুবক। মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। এদিন স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়ায় ইছামতীর খাল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।