জয়দীপ হালদার, উস্তি (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) উস্তিতে যুব তৃণমূল (TMC) নেতাকে গুলি করার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Police)। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত লালচাঁদ ও তাঁর দুই ছেলে কবিরুল ও সাবিরুলও আছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বারুইপুর, সুন্দরবন ও উস্তি এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।  


প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে উত্তর কুসুমের যুব তৃণমূল নেতা সুজাউদ্দিন গাজিকে গুলি করা হয়। দুটি বাইকে চড়ে এসে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় ৩-৪ জন দুষ্কৃতী। যুব তৃণমূল নেতার পেটে, পিঠে, গায়ে গুলি। আহত অবস্থায় তিনি ভর্তি হাসপাতালে। গুলিবিদ্ধ নেতার পরিবারের অভিযোগ, যুব তৃণমূল নেতাকে মাস চারেক আগে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তৃণমূলের মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তার জেরেই হামলা বলেই বলে অভিযোগ। ষড়যন্ত্রের জন্য মিথ্যা অভিযোগ। পাল্টা দাবি বিধায়কের। গোটা ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের বলে কটাক্ষ করে বিজেপি (BJP)।


প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো আক্রোশের কারণেই হামলা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় রুজু হয়েছে মামলা। সব মিলিয়ে তুঙ্গে তরজা।


দেখুন- উস্তিতে যুব তৃণমূল নেতাকে পর পর গুলি, পিছনে গোষ্ঠীকোন্দল?


গতমাসে একের পর এক তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধে হয়েছিলেন। হাওড়ার নাজিরগঞ্জে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader) ওয়াজুল খান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ বাড়ির কাছে বসেছিলেন বছর বাহান্নর ওই তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ (Point Blank Range) থেকে তাঁকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করা হয় নারায়ণা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Narayana Super Speciality Hospital)। সেখানেই হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।