জয়দীপ হালদার, মগরাহাট: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাটে (Magrahat) এক সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic volunteer) সহ দু’জনকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুনের (Murder) ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ (Cops)। গতকাল ধৃত জানে আলম মোল্লাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গত শনিবার ঠিক কী ঘটেছিল, তার পুনর্নির্মাণ করানো হয় মূল অভিযুক্ত জানে আলমকে দিয়ে। গোটা প্রক্রিয়া ভিডিও করে রাখা হয়। পুরো বিষয়টির তদারকি করেন ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পুলিশ জেলার সুপার।


মগরাহাটে জোড়া খুন


গত শনিবার মগরাহাটে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ দু’জনকে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কারখানা মালিক জানে আলমকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার জানে আলম মোল্লা


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মগরাহাটের মোহনপুরে সার-সহ একাধিক ব্যবসা আছে জানে আলমের। ১৫ বছর আগে বিভিন্ন জেলায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। মগরাহাটের মোহনপুরে পারিবারিক ব্যবসা, বিরাট পৈত্রিক বাড়ি আছে ধৃত জানে আলমের। তাঁর এক ভাই জাহাঙ্গির আলম মোল্লার মোহনপুরেই বড় ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা আছে। অন্য দুই ভাই আজিজুর ও আতিকুর রহমান মোল্লা পৈত্রিক মাছের ভেড়ির কাজকর্ম সামলান। সেজ ভাই আলমগীর আলি মোল্লা মোহনপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান।


আরও পড়ুনমাথার পিছনে গুলি, তার পর এলোপাথাড়ি কোপ, মগরাহাট খুনে নয়া তথ্য


শনিবার মগরাহাটের মাগুরপুকুরে একটি কারখানার ভিতর থেকে উদ্ধার হয়, সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী এবং তাঁর বন্ধু কাপড় ব্যবসায়ী মলয় মাখালের রক্তাক্ত মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী আমড়াতলা পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। তাঁর বন্ধু নিহত বস্ত্র ব্যবসায়ী মলয় মাখালও তৃণমূলের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন বলে দাবি স্থানীয়দের।