কলকাতা: কাজের চাপ, কম ঘুম এবং তার জেরে হওয়া স্ট্রেস (Stress)। এররকম নানা কারণেই বিভিন্ন নন কমিউনিকেবল ডিজিজের (Non Communicable Disease) প্রভাব বাড়ছে। এমনটাই বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। নন কমিউনিকেবল ডিজিজের তালিকায় রয়েছে হার্টের নানা সমস্য়া, ওবেসিটি (Obesity) থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারও (Cancer)। ইদানিং বয়স তিরিশ বছর পেরলেই হার্টের যত্ন নিতে বলে থাকেন চিকিৎসকরা। তার জন্য় শরীরচর্চার পরামর্শ যেমন থাকে, তেমনই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডাক্তারের পরামর্শ মেনে বিভিন্ন পরীক্ষা করাতেও বলা হয়। হার্টের এবং রক্তবাহী ধমনীর ঝুঁকি কতটা রয়েছে তা বুঝতে কড়া নজর রাখা হয় কোলেস্টেরলে। খাবারে লাগাম পরাতেই হবে যদি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন থাকে। প্রক্রিয়াজাত মাংস, অত্যধিক ডিম বা ফাস্টফুড খাওয়া যাবে না এটা প্রায় সকলেই জানে। কিন্তু বেশি প্রয়োজন কী কী খাওয়া উচিত তা জানা। বেশ কিছু সহজপ্রাপ্য খাবার রয়েছে যা প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে রক্তে কোলেস্টেরলের (cholestertol) মাত্রা লাগামে থাকে।
ওটস:ওটসে soluble fiber থাকে যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা low density lipoproteins কমাতে সাহায্য করে। soluble fiber রক্তে কোলেস্টেরলের শোষণে বাধা দেয়।
সয়াশরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নির্ধারিত লাগামের মধ্যে রাখতে কার্যকরী সয়া (Soy)। হাই প্রোটিন খাদ্যের মধ্য়ে পড়ে সয়া। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন ডায়েট চার্টে প্রতিদিন অল্প পরিমাণ সয়া রাখলে তা low density lipoproteins ৫ থেকে ৬ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
হোল গ্রেইনখোসা সুদ্ধ শস্য (Whole Grain) সবসময়েই স্বাস্থ্যের জন্য় ভাল। এটি LDL কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যেমন হোল গ্রেইন (Whole Grain) ওট, খোসা ছাড়ানো বাছাই ওটসের তুলনায় বেশি কার্যকরী। প্রচুর ফাইবার থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এগুলি।
বিনজাতীয় শস্যযেকোনও বিন জাতীয় শস্য হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য় ভাল। কোলেস্টেরলের মাত্রা লাগামে রাখতে সাহায্য করে। রাজমা, তরকা বা এই ধরনের শস্য পাতে রাখলে উপকার মিলবেই।
তেলে নজরবিভিন্ন ধরনের ভোজ্য তেল (edible oil) মিশিয়ে ব্য়বহার করা প্রয়োজন। কোনও এক ধরনের তেল না খেয়ে, বিভিন্ন রান্না বিভিন্ন ভোজ্য তেলে করলে, অথবা কিছুদিন অন্তর অন্তর ভোজ্য তেল পরিবর্তন করে ব্যবহার করলে কাজে লাগবে।
সামুদ্রিক মাছবেশকিছু সামুদ্রিক মাছ, কিছু ছোট মাছ হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। তার কারণ ওই মাছগুলিতে থাকে ওমেগা থ্রি (Omega 3) ফ্যাটি অ্যাসিড, যাকে হার্টের বন্ধু বলেই মনে করা হয়। প্রাণীজ প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে কাজে লাগে এটি।
ঢেঁড়সএই সব্জিও কোলেস্টেরল কমাতে বেশ কার্যকারী। ঢেঁড়সে (Okra) থাকা বিশেষ যৌগ কোলেস্টেরলের সঙ্গে মিশে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল কমাতে ঢেঁড়সের বীজ গুঁড়ো করে খাওয়ারও চল রয়েছে।
এছাড়া প্রতিদিন মরসুমি ফলও খাওয়া উচিত। বিশেষ করে আপেল ও আঙুরের মতো ফলও কোলেস্টেরল লাগামে রাখতে সাহায্য করে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। আরও পড়ুন: ওষধিগুণে ভরপুর, রোগ ঠেকাতে পাশে গোলমরিচ