হিন্দোল দে ও রঞ্জিত হালদার,দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এবার বারুইপুরের মদারহাটে তৃণমূল কর্মী খুন (TMC Worker Murder Case)। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের অভিযোগ, গোষ্ঠীকোন্দলেই খুন তৃণমূল কর্মী সইদুল শেখ। অভিযুক্তরা বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দারের ঘনিষ্ঠ। যদিও তৃণমূল খুনের দায় চাপিয়েছে বিজেপি ও সিপিএমের ঘাড়ে। এই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ (Baruipur Police Station)।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে সইদুলকে ডেকে নিয়ে যান কয়েকজন। কিছুক্ষণ পর, বাড়ির কাছেই মাঠ থেকে উদ্ধার হয় বছর পঁয়তাল্লিশের তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ। শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্বেই খুন, পাল্টা দাবি বাম-বিজেপির। বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দারের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এদিন নিহতের বাড়িতে যান বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতমাসে এই জেলাতেই তৃণমূল নেতা 'খুনের' পাল্টা 'খুন', পর পর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল। কাকভোরে জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ৫ কিমি দূরের গ্রামে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছিল। জয়নগরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। পাল্টা আততায়ী অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের স্বামী সইফুদ্দিন লস্করকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল বলে দাবি জানানো হয়েছিল। বাড়ির কাছেই শ্যুটআউট, পাল্টা তাড়া করে এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। এরপরেই গ্রাম ঘিরে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে আগুন, মারধরের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল।
আরও পড়ুন, আজই দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, I.N.D.I.A বৈঠকের পরেই মোদি-মমতা সাক্ষাৎ
সেসময় তৃণমূল বিধায়ক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন,'আমি বলতে চাই সিপিএম, তোমার হার্মাদ, তোমার খুনি যত আছে নিয়ে এসো। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়িয়ে আছি, একটা একটা করে খুন করো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৈন্যকে তোমরা শেষ করতে পারবে না। পারবে না। পারবে না।' ফিরহাদ হাকিম আরও বলেছিলেন, 'সইফুদ্দিন লস্কর কী অন্য়ায় করেছে? কোনও বড় মানুষের টাকা মেরে দিয়েছে? কোথাও কারও স্বার্থে ঘা লেগেছে? না। সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক কারণে যাদের সইফুদ্দিন লস্কর যদি থাকে, তাহলে এখানে সিপিএমের পায়ের তলার মাটি পাবে না। শুধু তার জন্যে একটা লোককে, হত্যা করে দিল। একটা অনুরোধ আপনাদের আর কেউ এলাকায় সিপিএমকে বিশ্বাস করবেন না। সিপিএম মানেই বিজেপি।'