মুন্না আগরওয়াল, দক্ষিণ দিনাজপুর : বালুরঘাটে (Balurghat) ৮ বছরের বালককে নৃশংস খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের এক আত্মীয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Police)। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন এলাকার তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর। আজ মৃত বালকের বাড়িতে যান বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি।


ধৃত বেড়ে ৫


৮ বছরের বালককে নৃশংস খুনের অভিযোগে আরও গ্রেফতার। এবার মূল অভিযুক্তের এক আত্মীয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫।


নৃশংস হত্যা


স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে প্রতিবেশী যুবক মানস সিংহের একটি ঘুড়ি ছিঁড়ে ফেলে দীপ। নতুন ঘুড়ি কেনার নাম করে তাকে সঙ্গে নিয়ে যান মানস। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি দীপ। রবিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে উদ্ধার হয় দীপের বস্তাবন্দি দেহ।


গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত মানস সিংহ, তাঁর বোন মানসী ও তাঁদের বাবা-মাকে। এবার অভিযুক্ত মানসের মাসি মুন্নি সিংহকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবারই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পাচারের চেষ্টার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন। তিনিও মুন্নি সিংহের নাম করেন। বালুরঘাটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিপুলকান্তি ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, ওই মানস সিং এবং তার বাবা মা বোন গুলমোহরে চাকরি করে মুন্নি বলে এক মহিলা, সবাই মিলে বাচ্চাটাকে পাচারের করার চক্রন্ত করেছিল।


তদন্তের দাবি স্থানীয়দের


সামান্য ঘুড়ি ছেড়া নিয়ে বিবাদের জেরেই কি খুন? সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীদের একাংশ। বাসিন্দাদের একাংশের সুরেই তৃণমূল কাউন্সিলরও বলেছেন, 'সামান্য ঘুড়ি নিয়ে এই খুন নয়। পিছনে কোনও চক্র আছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।'


এদিন মৃত দীপের মৃতদেহ বাড়িতে আনা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। সেখান থেকে এলাকাবাসী মিছিল করে মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যায়।


শুধুই কি ঘুড়ি ছেঁড়া নিয়ে বিবাদের জেরে খুন? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানা। 


কয়েকমাস আগেই বীরভূমের শান্তিনিকেতনে এক শিশুকে অপহরণ করে খুনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। বালুরঘাটের ঘটনার মতোই সেক্ষেত্রেও পড়শি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা।


আরও পড়ুন- মালদায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, সালিসিতে দেড়লক্ষে ‘ধর্ষণ’-মামলা প্রত্যাহারের বিধান ! কাঠগড়ায় তৃণমূল