সুদীপ চক্রবর্তী, চঞ্চল মজুমদার ও মুন্না আগরওয়াল, উত্তর দিনাজপুর: এলাকা থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির গলাকাটা দেহ। তা ঘিরে দিনভর উত্তপ্ত হয়ে রইল দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর। এলাকায় এমন ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় দোকানপাটও ভাঙচুর করা হয়। গোটা ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তীব্র বাদানুবাদও শুরু হয়েছে। দেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
ধুন্ধুমার গোটা এলাকা:
হরিরামপুরে এক ব্যক্তির গলাকাটা দেহ উদ্ধার ঘিরে ধুন্ধুমার। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে, সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে, থানায় ডেপুটেশন পেশ করল বিজেপি। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি উচিত নয়, মন্তব্য তৃণমূলের। ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের পুণ্ডরী এলাকা থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির দেহ। গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দেহ। তারপরেই দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এলাকা পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বেশ কয়েকজনের। তাণ্ডব শুরু করার অভিযোগ উঠেছে। উত্তেজিত বাসিন্দাদের একাংশ ওই এলাকার কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। তারপরেই দেহ নিয়ে শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। এলাকায় অশান্তি চলায় এবং ভাঙচুর করার প্রতিবাদে রবিবার দিনভর দোকান বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা।
তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর:
এদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, 'পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে এরকম অবস্থা হত না। আইসির ইস্তফা চাই।' মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি না করার বার্তা দিয়েছে তৃণমূল। দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, 'প্রতিটা মৃত্যুই দুঃখজনক। এ নিয়ে রাজনীতি উচিত না।'
তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ডেন্ডন শেরপা বলেন, 'একজনের ডেডবডি পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত করছি।'
আরও পড়ুন: প্রচারে বাধা, পদ পেতে বিপুল অঙ্কের টাকা! কর্মীদের তোপের মুখে তৃণমূল সাংসদ