মুন্না আগরওয়াল, দক্ষিণ দিনাজপুর: এখন লক্ষ্য দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পুরসভা নিজেদের দখলে রাখা। সেই কারণে এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল। সূত্রের খবর, ওয়ার্ড সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সভাপতি। এই নিয়েই শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে পদ্মশিবির।


বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের হ্যাটট্রিকের পর, উপনির্বাচনেও চার-শূন্যে বিরোধীদের উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার রাজ্যের বকেয়া পুরসভাগুলির ভোট নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। এই প্রেক্ষাপটে পুরভোটকে পাখির চোখ করে প্রস্তুতি শুরু করে দিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল। 


এখন লক্ষ্য বালুরঘাট পুরসভা। শনিবার ওয়ার্ড সভাপতিদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেন জেলা সভাপতি। সূত্রের খবর, বৈঠকে আসন্ন পুরভোটে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের ডাক দেন উজ্জ্বল বসাক। তিনি বলেন, 'কাজ করতে গিয়ে দলের মধ্যেই কোথাও বাধা পেলে, তা যেন সরাসরি জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়।' 


পুরভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু নিজেদের প্রস্তুতি আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছে শাসকদল। কারণ, বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬টি আসনের মধ্যে অর্ধেক আসনই তাদের খোয়াতে হয়েছে বিজেপির কাছে। যার মধ্যে রয়েছে বালুরঘাটও।


বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে বালুরঘাট পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৩টিতেই এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। মাত্র ২টিতে এগিয়ে তৃণমূল। কিন্তু ২০১৩-র পুরভোটেও ২৫টির মধ্যে ১৪টিতে জিতে বালুরঘাটে বোর্ড গড়েছিল শাসকদল। তাই বালুরঘাট পুরসভা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল, এখন থেকেই আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে আসরে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। 


আরও পড়ুন: West Burdwan News: ধান তোলার মুখে আচমকা বৃষ্টি, ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকরা


দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাকের কথায়, 'বালুরঘাটে তৃণমূলের পাশেই রয়েছেন মানুষ। আমরাই বোর্ড গড়ব।' অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারের কথায়, 'সঠিক ভাবে ভোট হলে বিজেপির পক্ষেই রায় যাবে।'


এখন কার দাবি সত্যি হয়, তা বোঝা যাবে পুরভোটের ফলপ্রকাশের পরেই।