মুন্না অগ্রবাল, দক্ষিণ দিনাজপুর: ফের বেহাল রাস্তার প্রতিবাদে একজোট হলেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভে অবরোধ করলেন পথ। বালুরঘাটের ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
বছরের পর বছর ধরে একই দাবি জানিয়েও লাভ হয়নি কোনও। অবশেষে বেহাল রাস্তার হাল ফেরাতে জোরাল আন্দোলনের পথই বেছে নিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভে পথ অবরোধ করে তারপর তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হল পঞ্চায়েতেও। এই ছবি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের। জলঘর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, '৩৫ বছর ধরে চককাশি থেকে রাধানগর যাওয়ার এই রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বারবার দাবি করা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। বেহাল রাস্তার কারণে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। এমনকী বুধবারও দুর্ঘটনা ঘটেছে। খারাপ রাস্তায় মোটর ভ্যান উল্টে আহত হয়েছেন চালক। এরপরই বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা প্রতিবাদে গাছের গুড়ি ফেলে পথ অবরোধ করেন। পরে তৃণমূল পরিচালিত জলঘর পঞ্চায়েতের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা।
গণ্ডগোলের খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বিডিও। বালুরঘাটের বিডিও অনুজ সিকদারের কথায়, 'এই রাস্তার জন্য টাকা চেয়ে আবেদন করে রাখা হয়েছে। আজ দুয়ারে সরকার রয়েছে। তবে গ্রামবাসীদের নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করব।' এদিকে বিক্ষোভ চলাকালীন পঞ্চায়েতের অফিসে ছিলেন না প্রধান বা উপপ্রধান কেউই।
স্বভাবতই মানুষের এই দুর্ভোগ নিয়ে রাজনীতি থেমে থাকেনি। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মনের কথায়, 'যেখানে যেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত, সেখানে মানুষের জন্য কাজ হয়নি। জলঘর তপন বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে। আমাদের বিধায়ককে বলব ব্যবস্থা নিতে।' অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, 'বিজেপি হাস্যকর কথা বলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে দেখেই মানুষ ভোট দিয়েছেন। বিজেপি বিধায়ক উন্নয়ন করলে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।'
এদিন বিডিওর আশ্বাসে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অবশেষে অবরোধ তোলেন গ্রামবাসীরা। খুলে দেওয়া হয় পঞ্চায়েতের গেটের তালা।