কলকাতা: অভয়াকাণ্ডে পথে নামার জের? শ্রীলেখাকে বয়কটের ডাক দিয়ে ব্যানার। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে বয়কটের ডাক দিয়ে বেহালায় ব্যানার। বেহালার সোদপুরে অভিনেত্রীর বাড়ির সামনে পড়ল ব্যানার। শ্রীলেখাকে সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে ব্যানার। ৯ অগাস্ট অভয়া মঞ্চের প্রতিবাদে সামিল হওয়ায় বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। সমাজ মাধ্য়মেও হেনস্থা করা হচ্ছে, অভিযোগ জানিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র। হরিদেবপুর থানায় ইমেলে অভিযোগ জানিয়েছেন শ্রীলেখা।

আগস্ট নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে শ্রীলেখা মিত্র বলেছিলেন, ''শ্রীলেখা বলেন, বিজেপিকে জিজ্ঞেস করুন, যে সিবিআই কী করছে ? শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞেস করুন, সিবিআই কী করছে ? শুভেন্দু অধিকারী তো নবান্ন অভিযানে গিয়েছে। তার তো জানার কথা, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী বলবে যে, সিবিআই কী করছে''

তারকা অভিনেত্রী আরও বলেন, ''আমি এইটুকু জানি যে, দিদি আর মোদির সেটিং আছেযেটা পলিটিশিয়ানরা যেটা করে থাকেন, তাঁদের নিজেদের সুবিধার জন্য, মরি আমাদের মতো লোকজনআমাদের বাড়ির তামান্না, আমাদের বাড়ির অভয়া.. এরকম মানুষজন মরে, আর সারাজীবন লড়াই করে বলে তাঁদের নিজেদের দামও দিতে হয়। তাঁদের নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে , তাঁদের প্রত্যেককে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যায়''

তিনি আরও বলেন, ''পুলিশ মন্ত্রীটা কে ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়মমতা যদি পুলিশমন্ত্রী হয়ে কিছু না করেন, তাহলে আমি আপনি কী করব ? তাহলে কেন পুলিশ কিছু করছে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করুন। আমি তো কর্মসূচি কিছু ঠিক করছি না। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর আমার মত আরও অনেক মানুষের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছেতো মানুষের দেওয়াল পিঠ ঠেকে গেলে কী করে ? যদি সেরকম হয়, আমি তাই করব''

উল্লেখ্য, অভয়া মঞ্চের সদস্য আর্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'এতগুলো সংগঠনকে একত্রিত করা হচ্ছে, ১ অগাস্ট, সিজিও অভিযান, ৯ অগাস্ট, কালীঘাট চলো, ১৪ অগাস্ট রাত দখলের ডাক'। এদিকে, ৯ অগাস্ট, 'কালীঘাট চলো'র অনুমতি না মেলায় ফের কলকাতা পুলিশকে ইমেল করেছিল 'অভয়া মঞ্চ'। ওই দিন, হাজরা থেকে হরিশ মুখার্জী রোড দিয়ে মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল 'তারা। সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। ইমেল করে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বা BNSS এর ১৬৩ ধারা চালু রয়েছে। ওই রুটে কোনও রকম মিছিল, র‍্যালি, জমায়েত, মিটিং এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করা যাবে না। এই ধরনের কোনও কর্মসূচি ওই এলাকায় গুরুতর আইন-শৃঙ্খলা জনিত সমস্যা তৈরি করবে এবং এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হবে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এই কর্মসূচি যদি ওই এলাকায় করা হয়, তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও ইমেলে উল্লেখ করেছিল কলকাতা পুলিশ। ১৪ আগস্ট রাত দখলের কর্মসূচি কতটা সাফল্য পায়, সেটাই দেখার।