সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ( West Bengal Recruitment Scam ) নিজাম প্যালেসে সিবিআই ( CBI ) দফতরে হাজিরা দিলেন SSC-র গ্রুপ ডি-র ৫০ জন কর্মী। এদের মধ্যে অধিকাংশেরই হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে।
কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন? প্রভাবশালী-যোগ বা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন কি না, হাওড়ার আমতা ও বাগনান এলাকার বিভিন্ন স্কুলের এই ৫০ জন কর্মীর কাছ থেকে জানতে চায় সিবিআই। প্রত্যেককে মার্কশিট ও নিয়োগপত্র আনতে বলা হয়েছে। খবর সূত্রের।
এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কয়েক দিন ধরেই ধাপে ধাপে চাকরিপ্রার্থী, চাকরিরত এবং আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। সেই ধারা অব্যাহত রেখে বুধবার হাওড়া জেলা থেকে এমন বেশ কয়েকজনকে তলব করা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলব পেয়ে বুধবার সকাল সকাল নিজাম প্যালেসে হাজির হন এসএসসি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে চাকরিপ্রার্থীরা। তার মধ্যে হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীরাও। ইতি মধ্যেই তারা হাজির হয়েছেন নিজাম প্যালেসে। তারা নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে হাজির হয়েছেন নির্দেশ মেনেই।
আরও পড়ুন :
জ্বরের পরই গায়ে হাতে অসহ্য যন্ত্রণা? ভাইরাল আর্থ্রাইটিস নিয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা
তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট
সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। তারপরই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে গতি বাড়ায় সিবিআই। সেই মত ৫০ জন করে চাকরিপ্রার্থী, চাকরি প্রাপক, ও চাকরি বাতিল হাওয়া পার্থীদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
বুধবার সকাল থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই সমস্ত প্রার্থীদের নথির সঙ্গে এসএসসির তরফ থেকে দেওয়া মেধা তালিকা তথ্যে কোন গরমিল রয়েছে কিনা।
গত ২৩ নভেম্বর, ফের সিবিআইয়ের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ' সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যর মামলায় অনুপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এটা খুব সন্তোষজনক পরিস্থিতি নয়। সিবিআই আধিকারিকদের বলুন এই মামলা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখতে। ' সিবিআইয়ের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যর মামলায় হাজির ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী। সিবিআইয়ের আইনজীবীর অনুপস্থিতি নথিবদ্ধ রয়েছে নির্দেশনামায়। সেই নির্দেশনামা দেখে মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মামলায় ২৬ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, আদালতে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। যদিও এই রিপোর্ট অসম্পূর্ণ বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ৬ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মানিক-মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।