কলকাতা: ফের পথে এসএসসি-র নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। চায়ের কেটলি, চপ-মুড়ি নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ। অন্যদিকে,বিকাশ ভবন অভিযানে ২০১৬-এর SLST-এর দৃষ্টিহীন চাকরিহারারা। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে মিছিল। 

Continues below advertisement

কারও হাতে থালায় মুড়ি... সিঙাড়া... চপ.... থেকে বেগুনি। আবার কারও হাতে চায়ের কেটলি-বিস্কুট। এরা চাকরিপ্রার্থী। স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবেন। বৃহস্পতিবার তাঁরাই চপ-মুড়ি, চা-সিঙ্গারা হাতে নামলেন রাস্তায়। প্রতিবাদ দেখাতে। এই চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ৬০-এ ৬০ বা ৭০-এ ৭০ পেয়েও ডাক আসেনি ইন্টারভিউয়ে। কিন্তু, হাতে চা-মুড়ি-চপ কেন? সেই প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রীর মন্তব্য়ের প্রসঙ্গ টেনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার 'কলকাতা অভিযানে'র ডাক দেয়, ২০২৫ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নতুন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। শিয়ালদা থেকে মৌলালি, ক্রিক রো ধরে ধর্মতলায়র দিকে যায় মিছিল। সুবোধ মল্লি স্কোয়ারের কাছে পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকালে রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা।

কিন্তু কেন? কেন হঠাৎ SSC চাকরিপ্রার্থীদের হাতে মুড়ি... সিঙাড়া... চপ.... বেগুনি? এর উত্তর পেতে গেলে ফিরে দেখতে হবে, বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বক্তৃতা। বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে ব্যবসায়ীদের একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প নিয়ে রাজ্য সরকারের একাধিক ভাবনা এবং উদ্যোগের কথা সামনে আনেন তিনি। আর সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেম, 'আমি যদি বলি ১০০০ টাকা নাও, দুটো চায়ের কেটলি কেনো। ঘর থেকে কিছু চা পাতা নিয়ে চা তৈরি কর। বিস্কুট নাও। বৌকে দিয়ে ঘুগনি তৈরি করে আনো। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াও, বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াও, দেখো তা কত টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। কোনও কাজ ছোট নয়। সব কাজই বড়।' এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চা বিক্রির প্রসঙ্গ টেনে মমতা আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন, তিনি চা বেচতেন, তখন তো তাঁকে নিয়ে কিছু বলা হয় না! আমি চায়ের কথা বললে অনেকে আমাকে ক্ষ্যাপায়। কখনও জীবনে হতাশ হবেন না। স্বপ্ন দেখতে শিখুন।'

Continues below advertisement

এই প্রসঙ্গে এদিন পথে নেমে চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, 'কেন তাহলে পড়াশোনা করলাম। উনি তো আগেই বলে দিতে পারতেন তাহলে পড়াশোনা করতাম।' অন্যদিকে এদিনই করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেয় ২০১৬-এর SLST-এর বিশেষভাবে সক্ষম চাকরিহারারা। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলেন নিয়ে উত্তাল রাজ্য় রাজনীতিও। সরব বিরোধীরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। তরজা তো চলতেই থাকবে। কিনতু, এই চাকরিপ্রার্থীদের দাবি এবং স্বপ্ন কি আদৌ পূরণ হবে? তা কেউ জানে না।