কলকাতা : হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। বুধবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশনও। আর এরই মধ্যে বিজেপির বার্তা , আটা আর ভুষি আলাদা করতে হবে। যাঁরা অযোগ্য তাঁদের বাদ দিয়ে, যোগ্যদের পাশে থাকবে বিজেপি। আদালতের নির্দেশে যে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি গিয়েছে, তাদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি, কথা দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। যোগ্যরাও চাকরিহারা হওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সরকারকেই দায়ী করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলে সুকান্তর অভিযেগ, বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া ৫ হাজার জনকে চিহ্নিত করলে, এই জটিলতা তৈরি হত না। বরং অযোগ্যদের ঢাল হয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
অন্যদিকে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা অযোগ্য, শুধু তাঁদের চাকরি বাতিল করা যেত। গোটা প্যানেল বাতিল করা দুর্ভাগ্যজনক !
এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিহারাদের কি নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে? নাকি পুরনো ওএমআর-এর পুনর্মূল্যায়ন করে যোগ্যদের চাকরি দেওয়া হবে? মামলাকারী আইনজীবীদের পরস্পরবিরোধী ব্য়াখ্য়া ঘিরে তৈরি হয়েছে ধন্দ 'কমিশন কেন অযোগ্যদের বরখাস্ত করল না?'প্রশ্ন তুলছেন চাকরিহারা প্রার্থীদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে আজ সুপ্রিম কোর্টে গেল SSC-ও।
২০১৬ সালে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, সোমবার তাঁদের সকলেরই নিয়োগ বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে,
সবার চাকরি বাতিল মানেই কি তাঁরা অযোগ্য়? তাঁদের সবাই কি টাকার বিনিময়ে চাকরি কিনেছেন? কিন্তু, তেমনটা আদতে নয়। তাহলে সেই পড়াশুনো করে খেটে ন্যায্যভাবে চাকরি পাওয়া যোগ্যদের কী হবে? এই উত্তরগুলির অপেক্ষাতেই এখন হাজার হাজার চাকরিহারা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন :
কোন কোন উপসর্গ দেখলে বুঝবেন হিটস্ট্রোক ? ব্রেন স্ট্রোকের সঙ্গে এর ফারাক কোথায় ?