অতনু হালদার ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: 'মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে', এসএসসি মামলার রায়ে (SSC Recruitment Scam) নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। স্পষ্ট জানানো হল, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে। ৬ সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা নিশ্চিত করবেন, যে বেতনের অর্থ ফেরত পাওয়া গিয়েছে। এদিনের রায়ে সব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ২০১৬-র সমস্ত নিয়োগই অবৈধ। এক ধাক্কায় সব মিলিয়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল বলে জানানো হয় রায়ে।
বিশদ...
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি একসময়ে বঙ্গ রাজনীতি তো বটেই, গোটা দেশে তুমুল আলোড়ন তৈরি করে। এই মামলার সূত্রে প্রথমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার পর ধীরে ধীরে গ্রেফতার হন আরও অনেক পদাধিকারীই। সেই মামলার রায়ে এদিন যে ভাবে ২০১৬-র সমস্ত নিয়োগ বাতিল বলে ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট, তা রাজ্যের পক্ষে বড়সড় ধাক্কার বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। শুধু চাকরি বাতিলের নির্দেশ নয়। কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত জারি রাখবে সিবিআই। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের ক্ষেত্রে তদন্তে প্রয়োজনে যে কোনও পদাধিকারীকে হেফাজতে নিতে পারবে, এও বলা হয়েছে রায়ে। পাশাপাশি সমস্ত ওএমআর শিটের কপি আপলোড করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই রায়ে। প্রসঙ্গত, যে সংস্থা ওএমআর শিটের দায়িত্বে ছিল, তারই এক প্রাক্তন কর্মীর বাড়ি থেকে তিনটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হলে কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আসে। যদিও সেই হার্ড ডিস্কের বৈধতা মানতে চায়নি রাজ্য। এদিনের রায়ে সেই হার্ড ডিস্ক থেকে পাওয়া তথ্যের বৈধতাও মেনে নিল হাইকোর্ট। সঙ্গে জানাল, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এই মর্মে এসএসসিকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ভোটের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এই রায় রাজ্যের পক্ষে বড় ধাক্কা।
প্রেক্ষাপট...
SSC-র গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ২৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অনেকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে মামলাটি ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। বিশেষ বেঞ্চকে ছ’মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। সেই মতো গত ডিসেম্বর মাস থেকে ওই মামলাগুলির শুনানি শুরু হয় বিশেষ বেঞ্চে। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে টানা এই মামলার শুনানি হয়েছে। তার পর এই রায়।
আরও পড়ুন:SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুলে ২৫ হাজার ৭৫৩জনের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI