কলকাতা : এসএসসি ভবনের সামনে ধুন্ধুমার। রয়েছে তুমুল উত্তেজনা। এসএসসি ভবন থেকে বেরোতে যাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন কর্মী। তাঁদেরকেও বেরোতে দেওয়া হয়নি বলে খবর। বিক্ষোভকারী চাকরিহারার তাঁদেরও আটকে দিয়েছেন বলে শোনা গিয়েছে। সেই সঙ্গে চাকরিহারাদের মুখে শোনা গিয়েছে 'হুঙ্কার' - 'কাউকে বেরোতে দেব না'। সন্ধে থেকেই শিক্ষামন্ত্রী এবং এসএসসি- র চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন চাকরিহারা বিক্ষোভকারীরা। রীতিমতো হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে তাঁদের মুখে। 'ওএমআর কপি না দিলে উঠছি না', 'ললিপপ নিয়ে বাড়ি যাব না', 'চেয়ারম্যানকে আজ সিংহাসন থেকে নামাব', বলছেন চাকরিহারাদের একাংশ। আচার্য সদনের বাইরে হাজার হাজার চাকরিহারাদের বিক্ষোভ। পুলিশকে ঠেলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা চাকরিহারাদের। বাধা পেয়ে অবস্থান বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। 

এসএসসি ভবনের বাইরে উঠেছে 'চোর' স্লোগান। রাতভর চেয়ারম্যানকে 'আটকে' রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা, এমনই শোনা গিয়েছে। আজ সন্ধে ৬টায় যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল এসএসসি কর্তৃপক্ষের। কিন্তু রাত ৮টা বেজে গেলেও তালিকা আসেনি। সময় যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে উত্তেজনা। 'ডেডলাইন' পেরোতেই ভাঙল 'ধৈর্য্যের বাঁধ'। শিক্ষামন্ত্রী এবং এসএসসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি চাকরিহারাদের। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন 'আজই ফাইনাল ম্যাচ'। 

সূত্রের খবর এবং চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি, আজ এসএসসি ভবনের ভিতর চাকরিহারাদের যে প্রতিনিধি দল বৈঠক করতে গিয়েছিল, তাদের মাধ্যমে খবর এসেছে যে থার্ড কাউন্সেলিং পর্যন্ত বৈধ। এই খবর পেতেই এসএসসি ভবনের আচার্য সদনের সামনে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, 'সরকার তো বলেছিল সপ্তম কাউন্সেলিং পর্যন্ত বৈধ। তাহলে আজ কি যুক্তিতে বলা হচ্ছে থার্ড কাউন্সেলিং পর্যন্ত বৈধ?' পরিস্থিতি সামাল দিতে আপাতত এসএসসি ভবন ঘিরে রেখেছে প্রচুর পুলিশবাহিনী। 

কোনও তালিকা প্রকাশ করল না এসএসসি কর্তৃপক্ষ। বৈঠক সেরে এসএসসি ভবন থেকে বেরিয়ে এমনই জানিয়েছেন চাকরিহারাদের এক প্রতিনিধি। তিনি এও জানিয়েছেন যে এসএসসি- র তরফে বলা হয়েছে, ফোর্থ কাউন্সেলিং থেকে সব কাউন্সেলিং বাতিল। যতদিন না সুরাহা মিলবে ততদিন এসএসসি ভবন ঘেরাও করে রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারা বিক্ষোভকারীরা। কর্মচারী থেকে চেয়ারম্যান কাউকে বেরোতে দেওয়া হবে। বিক্ষোভরতরা নিজেরাও যাবেন না কোথাও। এমনটাই জানানো হয়েছে চাকরিহারাদের প্রতিনিধি দলের তরফে। বন্ধ করে রাখা হয়েছে এসএসসি ভবনের দুটো গেট।