কলকাতা: আজ হাইকোর্টের (Calcutta High Court) চাকরি বাতিল রায়কে (SSC Recruitment Scam) চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) করা মামলার শুনানি। কী হবে SSC-র বাতিল হওয়া প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারার ভবিষ্যৎ? হাইকোর্টের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের রায়ই কি বহাল রাখবে সুপ্রিম কোর্ট? নাকি, চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দেবে সর্বোচ্চ আদালত? লোকসভা ভোটের মধ্যে এনিয়ে ক্রমশ চড়ছে রাজনীতির পারদ। শহিদ মিনার চত্বর থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক জায়গায় প্রতিবাদ ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।  ফের বিচারব্যবস্থা ও বিজেপিকে (BJP) একযোগে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Mamata Banerjee) এবার অবস্থান বিক্ষোভের ছবি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে।


মূলত, ক'দিন আগেও চক-ডাস্টার হাতে ক্লাসরুমে দেখা যেত তাঁদের। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি চাকরিহারা হয়েছেন SSC-র প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। এবার তাঁদেরই একাংশকে নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে অবস্থান বিক্ষোভে বসল তৃণমূল পরিচালিত দুই শিক্ষক সংগঠন। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে গলায় প্লাকার্ড ঝুলিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন চাকরিহারারা। তাঁদের অবস্থান মঞ্চে দেখা যায় তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য, রাজ্যের কারামন্ত্রী ও রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকে। সুপ্রিম কোর্টে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শুরুর আগেই বঙ্গ রাজনীতিতে চড়ছে তরজার পারদ।


 আজ একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে করা মামলার আজ হবে শুনানি।আর তার আগে, ভোটের মধ্যে ক্রমশ চড়ছে রাজনীতির পারদ। বিচারব্যবস্থা ও বিজেপিকে জোর আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  বলেন,' আপনি জানতেন আপনার পার্টি কাউকে দিয়ে আগে অর্ডার করিয়ে এদের চাকরি খেয়ে নেবে? আমি পরিষ্কার বলি আমরা তাদের সাথে আছি, আমরা ছিলাম, থাকব। চাকরিপ্রার্থীদের যদি কারওর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে তদন্ত হবে, নিশ্চই সংশোধন হবে। কিন্তু, তাই বলে ২৬ হাজার ছেলে-মেয়ের চাকরি খেতে আমরা কখনই মন থেকে মানি না, মানতে পারি না।' এদিকে, দুর্নীতির দায় স্বীকার করে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন, রাঁচি থেকে হাওড়াগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে আগুন-আতঙ্ক


প্রাক্তন বিচারপতি ও তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,' এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিতেও পারে, নাও দিতে পারে। যদি স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয়, তাহলে তার মানে এটা দাঁড়ায় না যে, মমতা ব্যানার্জি এবং তার দল চাকরি চুরি করে চাকরি বিক্রি করেননি। সেটা নির্ধারিত হবে যখন ফাইনাল হিয়ারিং হবে তখন।'