কলকাতা: এ বার সিবিআই দফতরে স্কুল সার্ভিস নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মামলাকারী ববিতা সরকার। মামলাকারী ববিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI)। মামলার নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে আইনজীবীর সঙ্গে ববিতা। সেখানে ববিতার বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই।
রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগের অভিযোগ। ববিতার মামলার জেরেই স্কুল শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় অঙ্কিতাকে। অঙ্কিতাকে দুই কিস্তিতে ৪১ মাসের বেতন ফেরতেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এসএসসি দুর্নীতির পর্দাফাঁস করেন ববিতা
২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হয়েছিল (SSC Recruitment Scam)। ২০১৭ সালের ২ মে সেই পরীক্ষার ফল বেরোয়। অভিযোগ, SSC-র প্রথম তালিকায় অঙ্কিতা অধিকারীর নামই ছিল না। ২০ নম্বরে নাম ছিল ববিতার (Babita Sarkar)। এর পর যখন নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয় এসএসসি-র তরফে, তাতে নিজের নাম ২১ নম্বরে দেখতে পান ববিতা।
প্রথমে অতশত মাথাতেই আসেনি ববিতার। বরং একধাপ নেমে গেলেন কী ভাবে, সেই প্রশ্নই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। তাতেই মাথা ঠান্ডা করে ফের তালিকায় চোখ বোলাতে শুরু করেন। তাতেই চোখে পড়ে এক নম্বরে জ্বলজ্বল করছে অঙ্কিতা অধিকারীর, আগে যাঁর নাম প্রথম ২০-র মধ্যেই ছিল না। সেই থেকে শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ।
ববিতা জানিয়েছেন, ওই একধাপ পিছনো নিয়ে হেন জায়গা নেই তিনি যাননি। ধর্নামঞ্চের সদস্যদের কাছে যান সবার আগে। সকলকে নিজের র্যাঙ্কিং কার্ড দেখান। তিনি বলেন, "এর পর একে একে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া থেকে তথ্য জানার অধিকার আইনে RTI ফাইল করা, কিছুই বাদ দিইনি আমি। উদ্দেশ্য ছিল একটাই, কোন মন্ত্রবলে একধাপ পিছিয়ে গেলাম, কোন বিষয়ে, কত নম্বর পেয়েছি, তা জানার।"
অঙ্কিতা এখনও হাজিরা দেননি
ববিতার অভিযোগ, আজও সেই চিঠির উত্তর পাননি। তবে লড়াই ছাড়েননি তিনি। সংসার, দুই সন্তান সামলে আইন-আদালতের পাশাপাশি, আন্দোলনেও নিয়মিত অংশ নিয়ে চলেছেন বিগত পাঁচ বছর ধরে। ঘটনাচক্রে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে এখন তৃণমূলে পরেশ। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীও তিনি। বিগত কয়েক দিনে দফায় দফায় সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। তবে এখনও পর্যন্ত অঙ্কিতাকে ডাকা হয়নি।