কলকাতা: শুধু প্রাথমিক বা উচ্চ প্রাথমিক নয়, দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার গোটা শিক্ষাব্যবস্থা (West Bengal Education System)। তা নিয়ে এ বার কড়া মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। দুর্নীতির জেরে ছাত্রদের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, কিন্তু আর হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করলেন তিনি। 


দুর্নীতির জেরে ছাত্রদের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, বললেন বিচারপতি


গ্রুপ ডি-র চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে চলছে তদন্ত। তাতে ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত করার অভিযোগ সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার তা নিয়ে কড়া অবস্থান নিতে দেখা গেল বিচারপতিকে। বেআইনি ভাবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের নামের তালিকা তুলে দিতে পর্ষদকে সময় দিলেন তিনি।


আর তাতেই এ দিন ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার কথা বলতে শোনা যায় বিচারপতিকে। তিনি বলেন, "দুর্নীতির জেরে ইতিমধ্যেই ছাত্রদের ক্ষতি হয়েছে। আর নয়। অযোগ্যদের একদিনও স্কুলে ঢুকতে দেব না।"


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ধনকড়-অধ্যায় অতীত, নয়া রাজ্যপাল 'নিপাট ভদ্রলোক', বললেন মমতা


অন্য দিকে, এ দিন নবম-দশমের ওএমআর শিট মামলায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সবাই যাতে ওএমআর শিট দেখতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর তাতেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, "দিওয়ার তোড় দো", অর্থাৎ দেওয়াল ভেঙে ফেলা হোক। 


ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার কথা বলতে শোনা যায় বিচারপতিকে


এর আগে, প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওএমআর শিট আপলোড করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। ৯৫২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে আশ্বাস দেন এসএসসি সচিব অর্ণব চট্টোপাধ্যায়। সেই সময়ও বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, "কেন রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ না দিলে ওএমআর দেখা যাচ্ছে না? কেন এই আড়াল? স্বচ্ছতা নেই? আশ্চর্য হলাম! দেখে আদালত খুশি নয়। কেন এই আড়াল? স্বচ্ছতা নেই? আশ্চর্য হলাম! দেখে আদালত খুশি নয়।"


২০১৬ সালের, নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার OMR শিট বুধবার প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু, রোল নম্বর এবং জন্ম তারিখ না দিলে OMR শিট দেখা যাচ্ছে না। যা নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। এই মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় ফের ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।