সৌভিক মজুমদার ও বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: 'ওয়েটিং লিস্ট থাকা সত্ত্বেও কেন অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করা হয়েছিল?', রাজ্য সরকারের সওয়াল শুনে এদিন প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court On SSC Scam Case)। 


শুনানিতে যা হল... 
এদিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করেন, '২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেন ২০২২ সালে অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করা হয়? ৬ বছর পরে তো প্যানেলেরই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল।' রাজ্যের সওয়াল ছিল, '২০২১-এ হাইকোর্টে মামলা হয়। অভিযোগ উঠতেই শূন্য পদ তৈরি হয়েছিল।' সঙ্গে এও জানানো হয়, '৬ হাজার ৮৬১ অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি হলেও ইকোর্টের নির্দেশে তা কার্যকর হয়নি।' কিন্তু এর পর রাজ্যকে শীর্ষ আদালতে প্রশ্ন ছিল, 'ওয়েটিং লিস্ট থাকা সত্ত্বেও কেন অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি হল?' সঙ্গে আরও বলা হয়, 'নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হলে ওয়েটিং লিস্টও তো বাতিল হয়ে যায়।' পরে এসএসসি দাবি করে, 'অতিরিক্ত শূন্য পদ মামলার ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেটা নিয়ে রাজ্য সরকার সওয়াল করছে।'


আর যা...
এদিন, শুনানি শুরু হতেই স্কুল সার্ভিস কমিশন মেনে নেয়, ১৯ হাজার চাকরিপ্রাপক যোগ্য। তা হলে তারা এই নিয়ে এত দিন কেন চুপ ছিল? আর এখনই বা জল-অচল বিভাজন হল কী ভাবে? তৃতীয় দফা ভোট নিয়ে আলোড়নের মাঝেই এই প্রশ্ন নতুন করে সাড়া ফেলে দেয়। সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি জানায়, ১৯ হাজার বৈধ নিয়োগের তালিকাও রয়েছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'টেন্ডার ছাড়াই বরাত, দেখে মনে হচ্ছে পরিকল্পিত জালিয়াতি।' কিন্তু হাজার হাজার অবৈধ নিয়োগের আসল দায় কার? কাকে আড়ালের চেষ্টা চলছে? এদিনের শুনানিতে কড়া নজর সংশ্লিষ্ট সব মহলের।
এখনও পর্যন্ত যা শুনানি হয়েছে, তাতে ওএমআর শিট সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও সওয়াল-জবাব হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএসসি-কে প্রশ্ন করেন, ওএমআর শিট কবে নষ্ট করা হয়েছিল? 
'নাইসাকে স্ক্যানের বরাত, আবার তারা বরাত দিয়েছিল ডেটা স্ক্যানটেককে! এটা জানতেন না, বলেছেন আদালতে।' এখানেই শেষ নয়। নাইসাকে যে টেন্ডার ডেকে বরাত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গও শুনানিতে উঠে আসে এদিন। সব মিলিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মামলার শুনানি।


 


আরও পড়ুন:বৈধ নিযুক্তি কত, অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন কতজন, সুপ্রিম কোর্টে হিসেব দিল SSC


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI