কলকাতা: এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থান প্রত্যাহার করে ক্লাসরুমে ফিরছেন চাকরিহারারা। এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অবস্থান প্রত্যাহার চাকরিহারাদের। সোমবার থেকে স্কুলে । ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুলে যাবেন। এসএসসি ভবনের সামনে থেকে এবার শহিদ মিনারে অবস্থান-বিক্ষোভ চাকরিহারাদের। যোগ্য হয়েও তালিকায় যাদের নাম নেই। আজ ও কাল সমস্যা না মিটলে বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক।
আরও পড়ুন, বীরভূমের সাইথিয়ায় বোমা বিস্ফোরণ ! ধামাচাপা দিতেই ভেঙে ফেলা হল বাড়ির দেওয়াল ?
SSC দফতরের সামনে চাকরিহারাদের আন্দোলন চারদিনে পড়ল। এবার পাশের লেনেই মাইক বেঁধে আন্দোলন শুরু করলেন ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন-টিচিং ফোরামের চাকরিহারা সদস্যরাও। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। চাকরিহারাদের দাবি, এই নতুন আন্দোলনকারীরা টেন্টেড বা দাগি বলে চিহ্নিত। তাদের OMR শিটে 'মিসম্যাচ' ছিল, তা স্বীকারও করেছেন ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন-টিচিং ফোরামের সদস্যদের একাংশ।যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা প্রকাশের দাবিতে ঠায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরের সামনে গত কয়েকদিন পড়ে ছিলেন আন্দলনরত চাকরিহারারা। এবার সেখানেই মাইক বেঁধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন-টিচিং ফোরামের চাকরিহারা সদস্যরাও। কিন্তু এরা কারা? চাকরিহারা শিক্ষকদের অভিযোগ, এই নতুন আন্দোলনকারীরা টেন্টেড বা দাগি বলে চিহ্নিত... পাল্টা বিভাজনের অভিযোগে সুর চড়াচ্ছেন ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন-টিচিং ফোরামের সদস্যরাও। এই ইস্যুতেই বৃহস্পতিবার দিনভর দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এসএসসি দফতরের সামনে দু-পক্ষের মধ্যে তৈরি হল ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল বলেন, ওদের ধরুন একটা মাইকিং হচ্ছে একটা, যেটা আমাদের যেটা বক্তব্য সেটার পরিপন্থী..। এক জায়গায় দুটো টিম কখনও হতে পারে কি? তাহলে ঝামেলাটা কি ইচ্ছে করে বাধানো হচ্ছে? ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন-টিচিং ফোরাম সদস্য বলেন, কীভাবে চেয়ারম্যানের সাথে আঁতাঁত করে তাঁরা ('যোগ্য' চাকরিহারারা) আগে থেকে জেনে যাচ্ছে? নাম না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ('যোগ্য' চাকরিহারারা) চলে যাচ্ছে? নাম না থাকা সত্ত্বেও তাদেরকেও তালিকায় রাখা হচ্ছে? তাদের ওএমআর শিটে যে কারচুপি হয়েছিল, তা স্বীকার করেও আন্দোলনে অনড় ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন-টিচিং ফোরামের সদস্যরা।
ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন-টিচিং ফোরামের সদস্য রীতেশ ঘোষ বলেন, সিবিআই রিপোর্টে আমাদের ওএমআর-এ মিসম্যাচ ছিল। কিন্তু ওই তালিকা তো এসসসি দেয়নি।চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডল বলেন, এটা কখনও হয়? যাদেরকে সমাজের চোখে টেন্টেড বলা হয়েছে বা আদালত বলে দিচ্ছে বা যাদেরকে কন্টিনিউ করতে বলা হল না, সুপ্রিম কোর্ট বলছে, CBI বলছে। তাদের সঙ্গে তো চলা সম্ভব না। আদালতের নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কারা স্কুলে যেতে পারবেন, কারা বেতন পাবেন, সে তালিকা ইতিমধ্যে ডিআই অফিসে পাঠানো হয়েছে। স্কুলেও পৌঁছে গেছে নির্দেশ। অথচ কারা অযোগ্য সেই তালিকা এখনও পর্যন্ত সামনে আনেনি এসএসসি। কে যোগ্য, কে অযোগ্য তা স্পষ্ট হয়নি। সেই নিয়েই এবার এসসএসসি দফতরের সামনে আন্দোলনেও উত্তেজনা ছড়াল।