কলকাতা: এবার আন্দোলনে SLST-র নতুন চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি। করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিল নতুন চাকরিপ্রার্থীদের। সেন্ট্রাল পার্কের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ নতুন চাকরিপ্রার্থীদের। অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর নিয়ে আপত্তি নতুন চাকরিপ্রার্থীদের। বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পথে নেমে আন্দোলনে নতুন পরীক্ষার্থীরা। নিয়োগের দাবিতে কাল পথে নামছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরাও।
ময়ূখ ভবনের সিগন্যালের কাছেই এই প্রতিবাদীদের আটকে দেয় পুলিশ। চ্যাংদোলা করে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর থেকেই রাস্তায় বসে তাঁরা। আন্দোলনকারীদের মতে, 'এ রাজ্যে জন্মানোটাই লজ্জার। মুখ্যমন্ত্রী বরং আমাদের ফাঁসি দিয়ে দিক। বাঁচার তো কোনও রাস্তা উনি রাখছেন না। দীর্ঘদিন ধরে এমনটা করে চলেছেন। আমাদের মতো হবু শিক্ষকদের চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাচ্ছে।'
মহিলা চাকরিপ্রার্থীদেরও টেনে হিঁচড়ে, রাস্তা থেকে তুলে দেওয়া হয়। রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। মহিলা আন্দোলনকারী বলেন, 'আজ রাস্তা থেকে তুলে দিচ্ছে। এরপর চাকরি না পেয়ে যখন রাস্তাতেই নামতে হবে সেদিন কী করবে? আমরা ফুটপথেই থাকব। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই করেছি।' আরেক আন্দোলনকারী বলেন, 'আন্দোলন সবে শুরু হয়েছে। এখানে আটকাচ্ছে আরেক জায়গায় করব। এই সরকার কত জনকে আটকাবে। গোটা রাজ্যজুড়ে রাস্তায় নামব। এক জায়গায় সরাবে, আন্দোলন করব। কী করবে দেখি'!
চাকরিপ্রার্থীর কথায়, 'চটিচাটা পুলিশ, দলদাস পুলিশ। রাজ্যের সব জায়গায় চাকরি খাওয়া চোররা ঘুরে বেড়াচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে, এঁদেরকে ধরার মুরোদ নেই। আমরা বঞ্চিত। চাকরি নেই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম আমাদেরকেই গায়ে হাত দিয়ে ভ্যানে তুলছে। আমাদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে তা রাজ্যের লজ্জা।
নতুন SLST চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, SLST একটা এন্ট্রি লেভেল এক্সাম হয়ে এখানে কী করে ১০ নম্বর দেওয়া হয়ে থাকে? আমার ছাব্বিশ বছর বয়স আমি কোথায় পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা পাব?
এদিকে, SSC-র ইন্টারভিউ তালিকায় 'দাগি' প্রার্থীদের নাম। ফের মামলা দায়ের হাইকোর্টে। 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন 'দাগি'রা?' কীভাবে ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নাম, প্রশ্ন তুলে মামলা। 'একমাত্র বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এত সতর্কতা সত্ত্বেও দাগি প্রার্থীরা সুযোগ পেলে, ভেরিফিকেশনের সময় তাঁদের বাদ দেওয়া হবে', স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাতে সেই ক্ষমতা সব সময়ই আছে, প্রেস বিবৃতিতে জানাল স্কুল শিক্ষা দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরে কর্মরত ব্যক্তিরাও অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর পেয়েছেন, দাবি মামলায়। ১৯৯৭-তে জন্ম, তবু কী করে অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর পেলেন? প্রশ্ন মামলায়। 'তালিকা প্রকাশ হয়েছে প্রার্থীদের দেওয়া অনলাইন তথ্যের উপর ভিত্তি করে। তথ্য যাচাইয়ের তারপর প্রকাশিত হবে ফাইনাল ইন্টারভিউ লিস্ট। সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনের সময় অযোগ্য কোনও প্রার্থী থাকলে বাদ যাবেন', প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানাল স্কুলশিক্ষা দফতর। মামলা গ্রহণ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা, আগামী বুধবার শুনানি।