সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বাগদার মামা-ভাগিনা গ্রামে চন্দন (Chandan Mondal) ওরফে রঞ্জনের (Ranjan) নতুন কীর্তি ফাঁস। চাকরির (Job) নামে এক পরিবারের ৫ জনের জন্য ৪৪ লক্ষ নেওয়ার অভিযোগ। প্রাথমিক (Primary), উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary) চাকরির জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার অভিযোগ। এদিকে, টাকা নিয়ে ২ জনের চাকরি হলেও, ২ মাস পরে বরখাস্ত হয়ে যাওয়ার দাবি।  একাধিকবার টাকা ফেরত চেয়েও টাকা ফেরত না পাওয়ার দাবি গ্রামবাসীর।


টাকার বিনিময়ে শতাধিক গ্রামবাসীকে চাকরি বিক্রির অভিযোগ খোদ তৃণমূল নেতার। সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি বিক্রির অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর দাবি, 'এ কার মাস্টার প্ল্যান? যারা শিক্ষাদফতর চালাচ্ছে, সরকার চালাচ্ছে। চন্দন তো এই গ্রামের ছেলে। মূল মাথা কারা সেটা আগে দেখা হোক।                             


এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'বাংলায় এমন কোনও জেলা নেই যেখানে রঞ্জন মন্ডলের মতো দালালরা সক্রিয় ছিল না। সারা রাজ্য জুড়ে পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত চাকরি বিক্রি হয়েছে। একটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। এমন বহু ঘটনা আছে। এরা কেবলমাত্র মিডলম্যান, এজেন্ট মাত্র। এর ওপর কে আছেন। কোম্পানির মালিককে খুঁজে বের করতে হবে'।                            


আরও পড়ুন, ক্ষুদিরাম বসু-প্রফুল্ল চাকীর নামে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল! লক্ষাধিক টাকা দেওয়ার নোটিস


এদিকে, নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় এবার উঠে এল আরও এক নাম।  'কালীঘাটের কাকু'র পর এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে 'রহস্যময়ী নারী'। 'সব জানেন গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। যা টাকা আছে সব গোপাল দলপতি ও তাঁর স্ত্রীর কাছে', আদালত থেকে বেরোনোর সময় নতুন দাবি কুন্তল ঘোষের। যদিও সিবিআই সূত্রের খবর, স্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছেন, এমনই দাবি করেন গোপাল দলপতি। তবে  গোপাল দলপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না, এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই সূত্র। 


 এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করে না।