সৌভিক মজদুমদার, কলকাতা: ঝালদা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে (High Court Division Bench) রাজ্য। পূর্ণিমা কান্দুকে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। পাশাপাশি সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আগামীকাল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

কদিন আগেই ধাক্কা রাজ্যের:ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality) নিয়ে ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্য। আপাতত ভাইস চেয়ারপার্সন পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসেবে কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ১০ ফেব্রুয়ারি ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের হাইকোর্টে শুনানি হবে। 

বারবার টালমাটাল:কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে কংগ্রেস কাউন্সিলরদের সমর্থনে পুরপ্রধান হয়েছিলেন শিলা চট্টোপাধ্যায়। পরদিন নিয়েছিলেন দায়িত্ব। আর তারপরের দিনই তাঁকে অপসারিত করেন মহকুমাশাসক। একই সঙ্গে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর ও প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারকে। কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশিকাকে চ্য়ালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন, ঝালদা পুরসভার অপসারিত চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। 

কংগ্রেস কউন্সিলর তপন কান্দু খুন। ওই মামলার সাক্ষীর রহস্যমৃত্যু। সিবিআই তদন্ত।- তারপর ভোট। কিন্তু পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে ঝালদা পুরসভার কাজ। বারবার চেয়ারম্যান বদল, বারবার আইনি লড়াই। পুরসভা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে টানা লড়ছে তৃণমূল ও কংগ্রেস।  শেষ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কংগ্রেসের সমর্থনে ঝালদার চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, পরদিনই আচমকা এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁর অপসারণের ঘোষণা করেন মহকুমাশাসক। সুদীপ কর্মকারের চেয়ারম্যান হওয়ার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এই প্রেক্ষাপটে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় কংগ্রেস। সেই মামলায় পূর্ণিমা কান্দুকে আপাতত চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব দেয় আদালত। এবার ফের আরও একবার আদালতে গেল রাজ্য।                             

এই টানাপড়েনে আদৌ কী লাভ? পুর এলাকার পরিষেবার কী হবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ঝালদা পুর এলাকার অন্দরে।

আরও পড়ুন: 'কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে' কুন্তলকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের