কলকাতা: কুড়মি সমাজের দাবি নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের। ‘আদিবাসী কুড়মি সমাজের দাবি বিবেচনা করে দেখুক কেন্দ্র। কুড়মি সমাজের দাবি-দাওয়া নিয়ে এর আগে মুখ্যমন্ত্রীও চিঠি দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় আদিবাসী মন্ত্রককে চিঠি দিল রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ সচিব।
কুড়মি দের অবরোধ-আন্দোলনের জেরে আজও বাতিল বহু ট্রেন। বেশকিছু ট্রেনের রুট বদল করা হয়েছে। রুট সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে আরও কয়েকটি ট্রেনের। বাতিল হওয়া ট্রেনের মধ্যে আছে, টাটানগর খড়গপুর স্পেশাল, টাটানগর হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, ঝাড়গ্রাম ধানবাদ এক্সপ্রেস, টাটানগর দানাপুর এক্সপ্রেস, টাটানগর আসানসোল স্পেশাল, হাওড়া বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, চক্রধরপুর টাটানগর এক্সপ্রেস সহ ৪০টি ট্রেন।
কুড়মিদের রেল ও সড়ক অবরোধ আজ চার দিনে পড়ল। পুরুলিয়ায় আদ্রা ডিভিশনের কুস্তাউর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে খড়গপুর ডিভিশনের খেমাশুলি স্টেশনে চলছে রেল অবরোধ। খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও অবরোধ চলছে। এর জেরে ওই লাইনে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা। খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ থাকায় কয়েক কিলোমিটার ধরে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি ট্রাক।
চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চারদিন ধরে আটকে থাকা ট্রাক চালকরা। তাঁদের অভিযোগ, অনেক দাম দিয়ে জল কিনতে হচ্ছে। ঠিকমতো খাবার মিলছে না। এক ট্রাক চালক জানান, "কিছুই সমাধান করছে না। আমরা আজকে ৪-৫ দিন পড়ে আছি। না খেতে পাচ্ছি, না জল পাচ্ছি, না স্নান করতে পারছি, না কিছু হচ্ছে।" একই অবস্থা অন্য ট্রাক চালকদেরও। এরইমধ্যে, রাজ্যের দাবি, কেন্দ্রের কাছে একাধিকাবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু উত্তর মেলেনি। ভয় পাচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলের ভোটটা চলে যাবে, মোদি সরকারকে নিশানা করেছে তৃণমূল। মোদির বদনাম করার চেষ্টা, পাল্টা মন্তব্য করেছে দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার, ৪ দিনে পড়ল কুড়মিদের আন্দোলনের। এখনও অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে খড়গপুর ও আদ্রা ডিভিশনের রেল পরিষেবা। স্তব্ধ হয়ে রয়েছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুজোর মুখে চরম ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ।
কোথাও ৪ দিন ধরে জুটছে না খাবার... নেই পানীয় জলটুকু। কোথাও, রাতের অন্ধকারে, গাড়ির হেডলাইট জ্বেলে চলছে ভাত-রান্না। শুক্রবার চতুর্থ দিনে পড়ল কুড়মি দের আন্দোলন। লাগাতার ট্রেন ও সড়ক অবরোধের জেরে এখনও স্তব্ধ পশ্চিমাঞ্চল। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে অব্যাহত রেল অবরোধ। রেললাইনে শুয়ে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা।