অমিত জানা, মেদিনীপুর : স্বাধীনতা সংগ্রামীর মূর্তি পড়ে তালাবন্দি অবস্থায়। অবহেলায় । গোডাউন ঘরে ।


আজ ৮ এপ্রিল। স্বাধীনতা সংগ্রামী অস্ত্রগুরু হেমচন্দ্র কানুনগোর ( Hemchandra Kanungo ) মহাপ্রয়াণ দিবস। ১৯৫১ সালে তাঁর মৃত্যু হয় ।  নারায়ণগড়ের (Narayangarh) রাধানগর গ্রামের বীর সন্তান তিনি।  মেদিনীপুর জেলার গর্ব হেমচন্দ্র কানুনগো। তাঁর স্মৃতিতেই তৈরি হেমচন্দ্র স্মৃতি বিশ্রামাগার। সেখানেই ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের মূর্তি। পরে সেই যাত্রী প্রতীক্ষালয় টি জরাজীর্ণ হয়ে ভেঙে পড়ায় যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে  ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ভেঙে ফেলা হয় প্রতীক্ষালয়টি ।


তখনই প্রতীক্ষালয় এর সামনে প্রতিষ্ঠিত হেমচন্দ্র কানুনগোর মূর্তিতে সরিয়ে ফেলা হয়। দু বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মূর্তিটি  ওভাবেই পড়ে। অরক্ষিত অবস্থায় । স্ট্যাচুটি স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির তত্ত্বাবধানেই স্থানীয় কালী মন্দিরেরগোডাউনে রাখা হয়।  এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

আরও পড়ুন :


ভোটের আবহে তীব্র জলসঙ্কট, গরম পড়তেই কুলটি, হাহাকার হীরাপুর, জামুড়িয়ায়


খকুড়দা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গৌতম পট্টনায়েক বলেন, প্রশাসন উদ্যোগ নিচ্ছে না। রাস্তা সম্প্রসারণ করার জন্যই টাল বাহানা চলছে। আমরা চাই মূর্তি দ্রুত স্থাপিত হোক। 


বিজেপি নেতা রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমচন্দ্র কানুনগো দীর্ঘ কারাবাসে ছিলেন। বাস স্ট্যান্ড করার নাম করে যে ভাবে লোকচক্ষু আড়ালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর মূর্তি, তার তীব্র নিন্দা করি।


তৃণমূল নেতা তথা বিদ্যুৎ কর্মধক্ষ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শৈবাল গিরি বলেন, ' বিদ্যাসাগরকে নিয়ে যে নোংরা রাজনীতি করেছে BJP ... আমাদের এলাকার গর্ব স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমচন্দ্র কানুনগো। p.w.d. রাস্তা চওড়া করছে।  মনীষীকে নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করুক। জনবহুল এলাকা দেখে খাকুড়দা বাজারে আমরা মূর্তি স্থাপন করে সম্মান জানাব।' 


আরও পড়ুন :


'৩৫৬ ধারা জারি করলে ২৫০টা আসনে জিতব', চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক