কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: নারায়ণকুড়ি খনি দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ইসিএলের (ECL Mine Tragedy) খোলামুখ খনিতে (ECL Open Cast Mine Tragedy) দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার। এবারের ঘটনাস্থল জামুড়িয়ার (Paschim Bardhaman Mine Tragedy) শিবডাঙা খোলামুখ খনি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সেখানে কয়লা কুড়োতে গিয়েছিল ওই স্কুলছাত্র। তখনই পাথরেপ চাঁইয়ে চাপা পড়ে মারা যায় সে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি । সরাসরি কয়লা উত্তোলনকারি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছেন বিজেন্দ্র। এর পরেই ছুটে আসেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন ইসিএলের আধিকারিক।


আর যা...
এদিনই নারায়ণকুড়ির খনিতে ধস নেমে ৭ জন শ্রমিকের মৃ্ত্যুর ঘটনায় ইসিএলের ভূমিকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তাদের বক্তব্য, এই মৃত্যুর দায় বিজেপি অস্বীকার করতে পারে না। ইসিএল-এর কুনুস্তোরিয়া এরিয়া অফিসের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে পুলিশের বাক-বিতন্ডাও হয়। জামুড়িয়ার শিবডাঙা খোলামুখ খনির দুর্ঘটনার ঠিক পাঁচ দিন আগে রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে ইসিএলের খোলামুখ খনি থেকে কয়লা তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। অন্তত ৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, দাবি করেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (BJP MLA Agnimitra Paul)। যদিও পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানায়, ৩ জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে।


কী ঘটেছিল নারায়ণকুড়িতে?
বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য, স্থানীয়রাই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়ে দেহগুলি উদ্ধার করেন। ঘটনার রাতে কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে খনির সামনে বিক্ষোভ দেখান অগ্নিমিত্রা পাল। বেশ কিছুক্ষণ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধও করা হয়। অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য, 'গরিব মানুষকে পেট চালাতে হবে। তিনি তাই সেখানে কয়লা তুলতে গিয়েছেন। কিন্ত পুলিশ, প্রশাসন, ইসিএলের আধিকারিকদের তো দেখার কথা ছিল। তাঁদের এটা নজরে রাখা উচিত ছিল যে, এই দরিদ্র মানুষগুলি এত ঝুঁকি নিয়ে খনির ভিতরে ঢুকছেন। তাঁদের কোনও হেলমেট, গিয়ার নেই। চোখের সামনে সবটা দেখছে সকলে।' বিজেপি বিধায়কের আরও অভিযোগ ছিল, ৭টি দেহ পাওয়া গিয়েছে। হয়তো আরও কিছু দেহ ভিতরে চাপা পড়ে থাকতে পারে। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কিছু করেনি। স্থানীয় মানুষরাই দেহগুলি বের করেছেন। একধাপ সুর চড়িয়ে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়কের আরও দাবি, হেন কোনও বেআইনি কাজ নেই যেখান থেকে পুলিশ টাকা খায় না, কলকাতার 'শান্তিনিকেতন' এবং কালীঘাটে টাকা যায় না।  


আরও পড়ুন:বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে অপসারণ করা উচিত, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়