পশ্চিম মেদিনীপুর: ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলার ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিক্ষোভে যারা ছিলেন, তারা আসলেই কারা ? কনভয়ে হামলায় দায়ী কে ? গতকাল থেকে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আর এমনই এক পরিস্থিতির মাঝেই আজ শালবনিতে সভা মমতার। আর সেই সভায় দাঁড়িয়ে বামেদের তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সুব্রতদা বলেছিলেন, সপ্তাহে একদিন ধরে সিপিএমকে পেটাই দেওয়া উচিত। কথাটা আমার মনে পড়ে, কিন্তু আমরা কাউকে মারব না, পাপের মার এমনিতেই হবে।'




 



এদিন শালবনির সভায় সিপিএমকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'জেলায় নেতাদের একেকরকম মত থাকতে পারে। কিন্তু শেষপর্যন্ত দল যাকে প্রার্থী করবে, তাকেই সমর্থন করতে হবে। অনেক সময় সিপিএম বলে আমাদের গ্রেফতার করেনি কেন? দয়া করে গ্রেফতার করিনি।' প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলাকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। মূলত শালবনিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় এদিন সন্ধ্যায়। অভিষেকের কনভয় বেরিয়ে যাওয়ার পরেই শুরু হয় ইটবৃষ্টি। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় অভিযোগ।


যদিও গতকাল এই ঘটনায় ট্যুইটে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। তিনি বলেছেন,  'দিলীপ ঘোষ সেল্ফগোল করে ফেলার পর বিজেপির মেকআপ করা খুব দরকার ছিল।' আর এবার অভিষেকের কনভয়ের যাত্রাপথে কুড়মিদের বিক্ষোভের ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যদিও পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েননি দিলীপও।




 



গতকাল এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'হিংসার আশ্রয় নিয়ে আন্দোলনকে কেউ সমর্থন করে না। আমরা নিন্দা করি। কিন্তু দুই দিন আগেই তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আপনারা দিলীপ ঘোষের বাড়ি আক্রমণ করুন, আমি সবরকম সহযোগিতা করব। তখন মজা লাগছিল না নাকি কুড়মিদের ক্ষেপাতে।আরে আমি জঙ্গলমহলের ছেলে। আমি জানি কে আছে না আছে, ওখানে। উনি তো কালীঘাটের ছেলে, উনি কী করে বুঝবেন, কুরমিরা কী খায়, কী করে থাকে।'



আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


দিলীপ ঘোষ এদিনও তোপ দেগে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী ওখানে এক পয়সার কাজ করেননি। আর কালীঘাটে বসে বলে দেন জঙ্গলমহল হাসছে। ওনারও যোগ্য জবাব পাওয়ার দিন এসে গেছে। অভিষেক বলছেন, ওরা নাকি কুড়মি ভোট পায় না। তাহলে পুরুলিয়া বাঁকুড়াতে কুড়মি এলাকায় ওরা ভোটে জিতল কীভাবে ? ভোটও নেবেন। স্বীকারও করবেন না। অপমানও করবেন। এসব করার অধিকার কে দিয়েছে ?'