অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: স্বামীকে ধরিয়ে না দিলে আত্মহত্যা (suicide) করবেন বলে স্বামীরই (husband) স্কুলের প্রধানশিক্ষককে (headmaster) হুমকি দিলেন স্ত্রী। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার মনোহরপুর রাজা রামচন্দ্র বিদ্যানিকেতনের ঘটনা। পুরো পর্বে কিছুক্ষণের জন্য হকচকিয়ে গেলেন প্রধানশিক্ষক। 


কী হয়েছিল?



৫৬ দিনের লম্বা গরমের ছুটির পর আজই স্কুল খুলেছে। প্রথম দিন ছাত্রছাত্রীদের হাজিরার হার কিছুটা কমই ছিল। কিন্তু তার পরও উত্তেজনা কিছু কম হয়নি। ছুটি হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে স্কুলের গেটে পৌঁছে গিয়েছিলেন শ্যামলী বেরা। সঙ্গে পুলিশ। অপেক্ষা স্বামী সঞ্জয় ডাকুয়ার। ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করেন সঞ্জয়। তাঁর বিরুদ্ধে নির্যাতনের দীর্ঘ অভিযোগ এনেছেন শ্যামলী। কেশিয়াড়ি থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। এর পরই উত্তেজনা।


কেন ক্ষুব্ধ?



অপেক্ষায় ছিলেন স্কুল ছুটি হলেই স্বামীকে ধরবেন। কিন্তু ছুটির আগেই স্কুলের পিছনের দরজা দিয়ে সঞ্জয় চম্পট দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি স্পষ্ট হতেই গণ্ডগোল শুরু হয় স্কুল চত্বরে। প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকেন শ্যামলী। প্রশ্ন করেন, জানিয়ে আসা সত্ত্বেও কেন সঞ্জয়কে যেতে দিলেন প্রধানশিক্ষক। এর পরই আত্মহত্যার হুমকি। পরে স্কুলের সমস্ত শিক্ষকদের ক্লাসরুমে ঢুকিয়ে শিকলবন্দি করেন নির্যাতিতার পরিবারের আত্মীয় পরিজন ও এলাকার মানুষজন।
কেশিয়াড়ি থানার নছিপুর গ্রামের শ্যামলী বেরার সঙ্গে আমদা গ্রামের সঞ্জয় ডাকুয়ার বিয়ে হয়েছিল রীতিমতো ঘটা করেই। কিন্তু শ্যামলীর দাবি, বিয়ের দু'মাস পর থেকেই তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন সঞ্জয়। বাড়ি বসে সমাধানের চেষ্টা করলেও সাড়া দেননি স্বামী, অভিযোগ এমনই। তাই পুলিশের সহায়তা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শ্যামলীর অভিযোগ, স্কুলের কর্মী ও প্রধান শিক্ষকই তাঁর স্বামীকে পালাতে সাহায্য করেছেন। 


একজন স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে বিস্মিত গ্রামবাসী। কেশিয়াড়ি থানায় এর মধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু সুবিচার মিলবে কি? মিললেও কবে? প্রশ্ন থাকছেই। 


আরও পড়ুন:হাতেগোনা গাছ, তাতেই নাকি খরচ ২ লক্ষ?