পশ্চিম বর্ধমান: দলীয় সভাতে গিয়ে তৃণমূলকে (TMC) তীব্র আক্রমণ সুকান্তর। পশ্চিম বর্ধমান জেলার লাউদোহাতে এদিন মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) নিয়ে সভা করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন সেখানে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কুকুরের জন্য ফ্ল্যাট ! আমার এখনও কলকাতাতে নিজের  ফ্ল্যাট নেই। মিঠুনদা আমার ওই ভাড়ার ফ্ল্যাটে এসে থাকছে আজকে। আর তৃণমূলের মন্ত্রীদের কুকুর রাখার জন্য বাগানবাড়ি-ফ্ল্যাট তৈরি করেছে, আপনাদের টাকায় ! '


তিনি আরও বলেন, 'আজকে যারা তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে রেখেছে। কী আর পাচ্ছে তাঁরা? কী পাচ্ছিস রে ভাই ? তৃণমূল তো লক্ষ্মীর ভান্ডারে মাত্র ৫০০ টাকা দিচ্ছে। ৫০০ টাকায় সংসার চলে? বিজেপি আসলে ২ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে দেবে। আমি এই মঞ্চ থেকে কথা দিয়ে গেলাম। তৃণমূলের কর্মীরা ৫০০ টাকার জন্য পতাকা লাগাচ্ছে, এদিকে ওদের দলের পার্থদা বউ এর নামে কত টাকা নিয়ে নিয়েছে। তাও আবার হাফ-বউ এর নামে। তাতেই ১৯ কোটি-১৭ কোটি টাকা।' প্রসঙ্গত, এদিনই আবার সিএএ ইস্যুতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।


এদিন শুভেন্দু বলেন, 'সিএএ বহু চর্চিত বিষয়, সিএএ-র দাবি বারে বারেই করেছি। যেমন কথা তেমন কাজ, সিএএ পাস হয়েছে। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা আইনে নেই। আগামী দিনে এরাজ্যে সিএএ চালু হবে। দম থাকলে সিএএ আটকে দেখান। সিএএ বিরোধিতার নামে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে ও হেনস্থা করা হচ্ছে। সিএএ কার্যকর হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার চালু হবে।’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিএএ নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। বিজেপির ডাকে সিএএ নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে ঠাকুরনগরে যান শুভেন্দু। ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে পুজো দেন বিরোধী দলনেতা।


আরও পড়ুন, মিঠুনের কনভয়ে দুর্ঘটনা, আচমকা ব্রেক কষায় পরপর ৩টি গাড়ির ধাক্কা


প্রসঙ্গত, শুক্রবার সংবিধান দিবস পালনের আবহেও বিধানসভায় দাঁড়িয়েই শাসকদলের সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অথচ সেদিনই আবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে শুভেন্দু। গতকাল বিধানসভায় সংবিধান দিবস ( Constitution Day )উপলক্ষে অনুষ্ঠানে শাসক দলকে নিশানা করেন শুভেন্দুৃ। ‘সংবিধানে লেখা, ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল’। আমাদের এখানে চলে, ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি’।২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস।  নির্ধারিত দিনের আগেই শুক্রবার বিশেষ এই দিন পালিত হয় বিধানসভায় ( West Bengal Assembly )। আর এখান থেকেই ফের একবার শাসকদলকে বাক্যবাণে বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।