পশ্চিম বর্ধমান: বিষ্ণুপুর থেকে দুর্গাপুর আসার সময় মিঠুনের (Mithun Chakraborty's Convoy) কনভয়ে দুর্ঘটনা (Accident)। সামনে হঠাৎ সাইকেল, বিজেপি নেতার গাড়ি ব্রেক কষায় দুর্ঘটনা। সামনে থাকা গাড়ি হঠাৎ থামায় পরপর ৩টি গাড়ির ধাক্কা। সামনে থাকা বিজেপি নেতার (BJP Leader) গাড়িতে ধাক্কা মিঠুনের গাড়ির। পরপর ৩টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, কেউ আহত হননি, খবর সূত্রের।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবার মহাজোটের সওয়াল মিঠুনের, ‘তৃণমূল যখন সরকারে এসেছে, তখন সবাই সিপিএমকে হারাতে একজোট হয়েছিল। কংগ্রেস, তৃণমূল, এমনকি অস্বীকার করে লাভ নেই বিজেপিও সমর্থন দিয়েছিল। এখন এমন একটা শক্তিকে হারাতে গেলে, সবার একসঙ্গে আসা উচিত। মতাদর্শগতভাবে আমরা আলাদা হতে পারি, থাক সেই জায়গাটা। আমাদের সবাইকে অবশ্যই একজোট হতে হবে', সুকান্তকে পাশে বসিয়ে বার্তা মিঠুনের। প্রসঙ্গত, এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ফের মিঠুন দাবি করেন, '২১ জন নন, বরং তার থেকেও বেশি তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন মিঠুনের সঙ্গে। এঁরা কারা ? কী তাঁদের নাম ? মিঠুনের জবাব, তিনি চাইলেই নাম বলতে পারেন। তাঁর যথাযোগ্য প্রমাণও রয়েছে। 'আমি ব্যাক আপ ছাড়া কথা বলি না... তাঁরা আছেন, স্ট্রংলি আছেন '। তবে, তাঁদের নাম তিনি আপাতত সামনে আনবেন না। কারণ সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে। মিঠুনের কথায়, এতে তাঁদের বিপদ বাড়তে পারে, প্রাণশঙ্কাও হতে পারে। '
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার পর বাঁকুড়ায় সাংগঠনিক সভা করেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। বিকেলে মেজিয়া কলেজ মাঠের সভায় শোনেন স্থানীয় বিজেপি সমর্থকদের অভাব অভিযোগের কথা।সভা থেকে তিনি প্রশ্ন তোলেন , ' কী পাওনি বল। ঘর পাওনি? ঘর পাবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সবাই ঘর পাবে। পয়সা স্থগিত করা হয়েছে, আটকে রাখা হয়নি। ...তুমি কি তৃণমূলের কোনও মামি, কাকি, কেউ নয়? তাহলে তো মুশকিল আছে। ঘর পেতে গেলে আগে তৃণমূলের মামি, কাকি, মাসি, ভাইপো, ভাইঝি হতে হবে। ...এই পঞ্চায়েতে যদি তৃণমূলের জায়গায় বিজেপি আসে, তাহলে প্রথম ঘর তোমার। '
আরও পড়ুন, 'মানুষের মধ্যে বিভেদ করতে চাইছে', সিএএ ইস্যুতে শুভেন্দুকে তোপ শমীক লাহিড়ির
পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ট্রাম্পকার্ড মহাগুরু! লক্ষ্য ব্লকস্তরে সংগঠনকে মজবুত করা। সেই লক্ষ্যেই দু’মাসের মধ্যে ফের রাজ্যে এলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ৫ দিনে ৫ জেলায় ঘুরবেন তিনি। করবেন সাংগঠনিক সভা। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঠিক পুজোর মুখে কলকাতায় এসেছিলেন ‘বাঙালি বাবু’। করেছিলেন একাধিক পুজোর উদ্বোধন। জনসংযোগ করতে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গেও। তার ঠিক, দু’মাসের মধ্যে ফের রাজ্যে মিঠুন।