বিশ্বজিৎ দাস, ডেবরা: গাড়ি হাঁকিয়ে এসে নামমাত্র ত্রাণ বিলির অভিযোগ। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বন্যাদুর্গতরা। রবিবার ডেবরায় ত্রাণ বিলি করতে যান সুকান্ত। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দেন। নামমাত্র ত্রাণ নিয়ে সুকান্ত পৌঁছন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীদেরই ত্রাণ বিলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।(Sukanta Majumdar)


পশ্চিম মেদিনীরপরের ডেবরার খাজুরি এলাকার ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি, বিরাট কনভয় নিয়ে ত্রাণ বিলি করতে পৌঁছন সুকান্ত। কিন্তু মাত্র ৫০টি ত্রাণ নিয়েই এসেছিলেন তিনি।  তাও আবার বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের মধ্যেই বিলি করা হয়। সুকান্ত সেখান থেকে বেরিয়ে যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। যদিও এ নিয়ে বিজেপি-র তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি। (Debra Flood Situation)


এদিন সুকান্ত এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই ক্ষোভে  ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক মহিলা বলেন, "গাড়িতে  কেন ত্রাণ আনেননি? আমরা সাধারণ মানুষ। এখানে দলের কোনও ব্যাপার নেই। মন্ত্রী ত্রাণ নিয়ে এলে তো সকলের পাওয়া উচিত? তা যদি না হয়, তাহলে ভোটের সময়ে দুয়ারে দুয়ারে চলে আসেন কী করে?"


এলাকার বাসিন্দা আর এক মহিলা বলেন, "এত বড় মন্ত্রী এলেন। সঙ্গে ১০টি গাড়ি এসেছিল। অথচ পাঁচটা টোকেন দেখিয়ে, পাঁচ জনকে দিয়ে চলে গেল, এ কি হয়? আমরা কেউ , কিছু পাইনি।" স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, "বন্যার কবলে পড়ে রয়েছি আমরা। তৃণমূল, বিজেপি ভাগাভাগি নেই, আমরা সবাই সাধারণ মানুষ। খেটে খাই, অথচ আমরা কিছু পাইনি। যা দেবে, তা তো সকলকে দিতে হবে, সমান দিতে হবে!"


ডেবরার পর এদিন পাঁশকুড়ার রাতুলিয়াতেও যান সুকান্ত। বিলি করেন ত্রাণ। এর পর মেচগ্রামে গিয়ে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে শুকনো খাবার ও ত্রিপল বিলি করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, "বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে রয়েছে। যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছি, সেখানে এক মানুষ জল ছিল। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। নৌকা বা কিছুর ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন। আমরা ত্রিপল, শুকনো খাবার, চাল, ডাল, মুড়ি, বিস্কুট, দুধের প্যাকেটের ব্যবস্থা করেছি।" যদিও স্থানীয়দের দাবি, বিজেপি কর্মীরাই শুধুমাত্র সুকান্তর আনা ত্রাণ পেয়েছেন।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'শুধু ভোটের সময় আসে, উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার, ক্ষতিপূরণেও বঞ্চনার অভিযোগ