কাটমাণ্ডু: প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধ্বসের ফলে ক্রমশ ভয়াবহ পরিস্থিতি হচ্ছে নেপালের বন্যা পরিস্থিতি (Nepal Floods)। রবিবার পর্যন্ত সেখানে বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও একাধিক জন। তাদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
নেপাল পুলিশ জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া লাগাতার বৃষ্টির জেরে নেপালের বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে হড়পা বানেরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ইতিমঙ্গে নেপালের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশের জাতীয় সড়কের ৬৩টি জায়গায় রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ব্যাঘাত ঘটেছে অভ্যন্তঃরীণ বিমান চলাচলেও। প্রবল বৃষ্টির জেরে নেপালের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নেমেছে ভূমিধ্বসও। এর ফলে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এপ্রসঙ্গে নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ধ্যান বাহাদুর কার্কি জানান, প্রবল বর্ষণের ফলে হওয়া ভূমি ধসের জেরে সবথেকে বেশি মৃ্ত্যুর ঘটনা ঘটেছে নেপালের রাজধানী কাটমান্ডু উপত্যকায়। যেখানে ৪০ লক্ষ মানুষের বাস। ওই এলাকায় বন্যার ফলে ট্রাফিক জ্যাম হওয়ার পাশাপাশি জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে জাতীয় সড়কের ২৮টি জায়গায় ভূমি ধস নামায়। কর্তৃপক্ষের তরফে রাস্তা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে যান চলাচল ফের স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
নেপালের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ বিনু মাহারজান জানান, ভারতে সৃষ্ট হওয়া নিন্মচাপের জেরে রবিবার সকাল পর্যন্ত নেপালে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কথা। তারপর আবহাওয়া আস্তে আস্তে পরিষ্কার হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নেপালের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত কোশী নদীর কারণে প্রতিবছরঅ বন্যা হয় প্রতিবেশী ভারতের বিহারে। এবার কোশী নদীতে বিপদসীমার ওপরে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার কিউসেক জল রয়েছে। যা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকার কথা দেড় লক্ষ কিউসেক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।