কলকাতা: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (Central Agency) বিরুদ্ধে একের পর এক পর্যবেক্ষণ আদালতের (Court)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে তদন্তে পরপর পর্যবেক্ষণ আদালতের। পর্যবেক্ষণগুলি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিপিবদ্ধ আকারে দেবে বঙ্গ বিজেপি, জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার অফিস থেকে ফাইল ডাউনলোড করার অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ইডির বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। মামলা পৌঁছে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। তবে এবার সেই ইস্যুতেই পাল্টা অভিযোগ তোলে ইডি। তাঁদের দাবি,'তদন্তের গতি স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।'


বৃহস্পতিবার আদালতে এই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি-র দাবি,'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও আছেন জানানোর পর থেকেই হয়রানি শুরু। আমাদের বলতে বাধা নেই যে সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের নির্দেশে এসব হচ্ছে।' সংস্থার কম্পিউটার থেকে সকলের অজান্তে ১৬টি ফাইল ডাউনলোডের অভিযোগ রয়েছে ED-র বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে কলকাতা পুলিশ।


আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধেও মারাত্মক অভিযোগ করে ইডি। বলা হয়, 'বার বার এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তদন্তের গতি স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে। পুলিশকে নিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে, নেপথ্যে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে।" লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ফাইল ডাউনলোড মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও করেছে ইডি। তবে ED-র অভিযোগের জবাব দিতে দেরি করেনি রাজ্য।


তাঁদের তরফে বলা হয়, 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তল্লাশিতে আসল ED গিয়েছিল কিনা, জানব কী করে! মাঝে মধ্যেই ভুয়ো CBI-ED-CID আধিকারিক ধরা পড়ে। তাই যাঁরা তল্লাশিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের পরিচয় জানতে চেয়েছে পুলিশ। আমরা ED-র কাছে ইমেল মারফত কিছু প্রশ্নের উত্তর চেয়েছি, এতে হয়রানির কী আছে? সাইবার শাখায় অভিযোগ হয়েছিল, সেই প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চলছে। কখনও ED-র কাজে হস্তক্ষেপ করা হয়নি। ED-ই বরং এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করেছে। তাই আমাদের অনুসন্ধান করতে হচ্ছে। আর ED নিজেই ভুল স্বীকার করেছে।'


আরও পড়ুন, 'অনেক বড় কিছু ঘটবে..', TMC-কে নিয়ে কীসের ইঙ্গিত সুকান্তর ?


১৬টি ফাইল ডাউনলোডের তদন্ত নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্যকে প্রশ্ন করেন। জানতে চান, 'যে জেনারেল ডায়েরি দায়ের হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ করেছেন?' জবাবে রাজ্য বলে, 'আমরা যা করছি, সবটাই আদালতের নজরদারিতে রয়েছে।' এতে বিচারপতি সিনহা বলেন, 'আমি খুশি হতাম, রাজ্য যদি সব জেনারেল ডায়েরির ক্ষেত্রে এত দ্রুত পদক্ষেপ করত।'