প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: তিন দফায় (anubrata mondal) অনুব্রত-কন্যাকে (Sukanya Mondal) জিজ্ঞাসাবাদের (interrogation) পরেও সঠিক তথ্য মিলছে না, খবর ইডি (ED) সূত্রে। নামধাম সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য দিলেও ব্যবসা ও কোম্পানি সংক্রান্ত তথ্য দেননি সুকন্যা মণ্ডল, খবর তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে। সঙ্গে সংযোজন বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরে বলছেন তিনি জানেন না। তাঁর বাবা বলতে পারবেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সুকন্যার দাবি, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি বলতে পারবেন। সব তথ্যই যেহেতু অনুব্রতর কাছে রয়েছে বলে উঠে আসছে তাই কেষ্টকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। দু-একদিনের মধ্যে সেই প্রক্রিয়াও শুরু করবে তারা। 


কী জানা গেল?
পর পর তিন দিন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির মেয়েকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তবে সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা এর পরও সন্তুষ্ট নন। যা জানা যাচ্ছে, সুকন্যাকে যখন নানা ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা হচ্ছে, তখন তার সবকটিরই উত্তর দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু যখনই ব্যবসা বা সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে, তখনই সুকন্যা দাবি করছেন তিনি কিছু জানেন না। কখনও বলছেন, 'বাবা বলতে পারবেন।' কখনও আবার জানছেন, সব তথ্য রয়েছে হিসাবরক্ষকের কাছে। এদিকে মণীশ কোঠারির বক্তব্য, তাঁর কাছে যখন যা নথি পাঠানো হত তিনি তাঁর ভিত্তিতেই অডিট করে দিতেন। সবের পর এবার অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। 


প্রেক্ষাপট...
দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে শুক্রবার ফের অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই নিয়ে তিনদিন ইডির দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। প্রথম দিন তাঁকে ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। দ্বিতীয়দিন করা হয় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ। ইডি সূত্রে খবর, মূলত সম্পত্তির টাকার উত্‍স নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত কন্যাকে। শুক্রবার অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুক্রবারই আবার ইডি দফতরে ডাকা হয়েছিল অনুব্রতর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট মনীশ কোঠারি ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা রাজীব ভট্টাচার্যকে। গত ২ এবং ৩ নভেম্বর গরু পাচার মামলায় দু’দিনে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, সুকন্যাকে। আবারও তলব করা হয়েছিল, অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি এবং অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও চালকল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকেও।


আরও পড়ুন:'টাকা যাচ্ছে কোথায়? নেতাদের পেটে?' ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের হলফনামা প্রসঙ্গে খোঁচা দিলীপের