সমীরণ পাল: সুন্দরবন এলাকায় লোকালয়ের কাছে দেখা মিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। গ্রামবাসীদের দেওয়া ভিডিওয় এমনই ছবিই ধরা পড়েছে। যদিও বন দফতরের দাবি, বাঘ যাতে লোকালয়ে ঢুকে না পড়ে, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া আছে। বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিস্তীর্ণ এলাকায় অত্যাধুনিক ফেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। নদীর ধার ধরে ছুটে বেড়াচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে কোনওক্রমে সেই বাঘকে জঙ্গলে ফেরত পাঠান বনরক্ষীরা। সুন্দরবন কোস্টাল থানার ১০ নম্বর ঘেড়ি এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও দু’সপ্তাহ আগে সজনেখালির বিট অফিসের অদূরে চলে আসে আরও একটি বাঘ। আর পরপর এই ধরণের ঘটনাতেই চরম আতঙ্কে গ্রামবাসীরা। কখন বিপদ আসবে, তা ভেবেই ঘুম উড়েছে সকলের। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, জঙ্গল থেকে প্রায়ই লোকালয়ের খুব কাছে চলে আসছে বাঘ। যদিও এই বিষয়ে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টর জানিয়েছেন, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কোনও কারণে হয়তো বাঘ জঙ্গল থেকে বাইরে চলে আসে। তবে সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের লোকালয়ে আসা ঠেকাতে ১০৫ কিলোমিটার এলাকয় বেড়া দেওয়া আছে। নজরদারিতে রয়েছে ১৭টি ক্যাম্প। এছাড়া জলপথেও নজরদারিতে রয়েছে ৭টি ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্প। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আরও জানিয়েছেন যে, আগামী দিনে অত্যাধুনিক ফেন্সিং দেওয়া হবে। বন দফতর বারবার আশ্বস্ত করছে, তবে ভয় কাটছে না গ্রামবাসীদের। 


এর আগে বাঘ সংরক্ষণে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করার জন্য গ্লোবাল কনজার্ভেশন অ্য়াসিওর্ড  টাইগার স্ট্যান্ডার্ডস এর শিরোপা পেয়েছিল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প। এছাড়াও ভারতে আরও ১৩ টি টাইগার রিজার্ভ গ্লোবাল কনজার্ভেশন অ্য়াসিওর্ড টাইগার স্ট্যান্ডার্ডস এর স্বীকৃতি পেয়েছে। গোটা পৃথিবীর মধ্যে ভারতই এখন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাঘের বাস। উল্লেখ্য, টাইগার স্ট্যান্ডার্ডস (সিএ | টিএস)  আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৩ সালে চালু হয়েছে। এর লক্ষ্য বাঘ  সংরক্ষণের   জন্য ন্যূনতম মান নির্ধারণ করা। একইসঙ্গে বাঘ  সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এই মানগুলির মূল্যায়নকে উৎসাহ দেওয়া।