সুন্দরবন: চোরাশিকারিদের হাতে সুন্দরবনে খুন বন দফতরের কর্মী। হেতালবাড়ি জঙ্গল থেকে উদ্ধার বনকর্মীর দেহ। চোরাশিকারিদের বাধা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সেই থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই বনকর্মী। রবিবার ভোরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর মাথার পিছনে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। (Sundarbans News) বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


সুন্দরবনের নেতিধোপানি ক্যাম্পের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে, যা সুন্দরবন কোস্টাল থানার অন্তর্গত। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধেয় বাংলাদেশের দিক থেকে হেতালবাড়ি জঙ্গলে ঢোকে চোরাশিকারিদের নৌকা। বিষয়টি গোচরে আসায় চোরাশিকারিদের বাধা দিতে যান বনকর্মী অমলেন্দু হালদার। চোরাশিকারিদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় তাঁর। এর পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন অমলেন্দু। (Forest Department) অন্ধকারে তাঁর খোঁজ মেলেনি। চোরাশিকারিদেরও নাগাল পাননি বন দফতরের কর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যান তাঁরা। 


শেষ পর্যন্ত রবিবার ভোরে নেতিধোপানি ক্যাম্পের কাছ থেকে অমলেন্দুর দেহ উদ্ধার হয়। অমলেন্দুর মাথার পিছনে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বন দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। কোথা থেকে এসেছিলেন চোরাশিকারিরা, ঠিক কী ঘটেছে, কারা এর নেপথ্যে রয়েছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: Raj Bhavan Controversy: অভিযোগকারিণীকে আটকানোর চেষ্টা? শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজভবনের কর্মীদের তলব করল পুলিশ


বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে,  গতকাল সন্ধেয় সুন্দরবন ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের কর্মীরা নৌকায় চড়ে টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় বাংলাদেশের দিক থেকে একটি বোটে চড়ে চোরাশিকারিরা হেতালবাড়ির জঙ্গলে ঢোকে। বাধা দিলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বন দফতরের কর্মীদের। শুরু হয় হাতাহাতি। বন দফতরের কর্মী অমলেন্দু এর পর নিখোঁজ হয়ে যান। আজ ভোর ৫টা নাগাদ হেতালবাড়ির জঙ্গল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। 


গতকাল রাতে সংঘর্ষের সময় অন্ধকার নেমে আসে। তাই চোরাশিকারিদের নাগাল মেলেনি সেই সময়। ঘটনার পরই চোরাশিকারির দল এলাকা থেকে চম্পট দেয় বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। সুন্দরবনের জঙ্গলে বরাবরই চোরাশিকারিদের আনাগোনা। তাদের রুখতে নিয়মিত টহল, নজরদারি চলে। তার পরও এই ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।