সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: প্রাথমিকের ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 'পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ।' নির্দেশ বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চের। 


কী ঘটেছিল?


২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায়, টেট উত্তীর্ণ যেসব প্রার্থী ২০২০-২২ সালে D.El.Ed প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হাইকোর্টে মামলা করেন সৌমেন পাল-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, যেখানে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরা রয়েছেন, সেখানে কেন প্রশিক্ষণরত প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হবে? কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন।


সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান মামলাকারীরা। শুনানির পর, সেই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। যার অর্থ হল, প্রশিক্ষণরত D.El.Ed প্রার্থীরা প্রাথমিকের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর অংশগ্রহণ নিতে পারবেন না। এরপর প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ।


এদিকে শিক্ষক বদলিতে রাজ্যের সিদ্ধান্তে গতকাল সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৭ সালে জারি করা রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি বৈধ বলে জানাল আদালত। ২০১৭ সালের আগে পর্যন্ত ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশন আইনের ১০-এর A ও ১০-এর B ধারায় শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের বদলি করা হয়। কিন্তু, ২০১৭ সালে ওই আইনে নতুন একটি ধারা যোগ হয় - ১০-এর C। যেখানে বলা হয়, রাজ্য় সরকার মনে করলে, প্রশাসনিক প্রয়োজনীয়তার খাতিরে, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের বদলির ব্য়াপারে, কমিশনকে সুপারিশ করতে পারবে। এই আইনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালেই আদালতের দ্বারস্থ হন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের এক অংশ। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট হয়ে,ফের হাইকোর্টে ফেরত আসে মামলা। এরইমধ্য়ে, গত ২৮ জুন, বিকাশ ভবন থেকে প্রায় ৬০০ জনকে প্রশাসনিক কারণে বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।সেই নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা। সেই মামলাতেই গতকাল বিচারপতি হরিশ টন্ডনের বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রশাসনিক কারণে রাজ্য়ের সুপারিশে শিক্ষক বদলি বৈধ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: Nadia News: ফেসবুকে ভোটসন্ত্রাস নিয়ে কবিতা পোস্ট, মারধরের অভিযোগ TMC-র বিরুদ্ধে


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI