সুনীত হালদার ও  সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ভর সন্ধেয় পাঁচিল টপকে ঢুকছে চোর। তারপর চারদিক দেখে সোজা বাড়ির মধ্যে। ডোমজুড়ে (Domjur) ক্যামেরাবন্দি চুরি। কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে দিল্লিতে (Delhi) বসে সিসিটিভি ক্যামেরার (CCTV Camera) ছবি দেখে থানায় খবর দিলেন বাড়ির মালিক। হাতেনাতে ধরা পড়ল চোর।


ডোমজুড়ে ক্যামেরাবন্দি চুরি: মাথায় গামছা বেঁধে, হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাঁচিল টপকে বাড়ির চৌহদ্দিতে ঢুকল চোর। তারপর দরজার তালা ভেঙে চুপিসারে ঘরের ভিতরে সবটাই নিপুণভাবে সেরে ফেলেছিল দুষ্কৃতী। কিন্তু বাধ সাধল সিসি ক্যামেরার (CCTV Camera) নজরদারি। হাওড়ার বাঁকড়ার বাড়িতে ঘটে চলা এই পুরো ঘটনাই দিল্লিতে বসে মনিটর করছিলেন সিআরপিএফ আধিকারিক অশোককুমার নাগ। তড়িঘড়ি ডোমজুড় থানায় খবর দেন তিনি। ফোন করেন প্রতিবেশীদেরও। হাতেনাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত রাহুল রহমান মল্লিক।

ধৃতের জেল হেফাজতের: সিআরপিএফের সেকেন্ড ইন কমান্ড (Second in Command of CRPF) অশোককুমার নাগের পোস্টিং দিল্লিতে। তাঁর হাওড়ার (Howrah) বাড়িতে কেউ থাকেন না। সেই সুযোগেই হানা দিয়েছিল চোর। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশ সূত্রে খবর, আলমারি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে, বাথরুমের কল, শাওয়ার থেকে শুরু করে বহু মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করলেও তা নিয়ে যেতে পারেনি অভিযুক্ত। ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া আদালত।


বর্ধমানের দুই স্কুলে চুরি: চলতি মাসেই বর্ধমানের স্কুলে চুরির ঘটনা ঘটে। দু'টি স্কুলে চুরির ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় বর্ধমান (Burdwan) শহরে। একটি স্কুলের দরজা-জানালা ভেঙে, তো অপর স্কুলেটিতে গ্যাস কাটার দিয়ে তালা কেটে স্কুলে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। তারা প্রধান শিক্ষকের ঘর ও স্টাফরুমে প্রবেশ করেছিল। ১০ নভেম্বর রাতে বর্ধমান শহরে ৩ নম্বর ইছলাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও ৪ নম্বর ইছলাবাদ বিবেকানন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে। ৪ নম্বর ইছলাবাদ বিবেকানন্দ বালিকা বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরেরা। এছাড়া দু'টি স্কুলেরই সমস্ত নথি তছনছ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ ও বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। তদন্ত শুরু করে বর্ধমান থানার পুলিশ।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: উৎসবের আমেজেও রাজনীতির আঁচ, ছটের ছুটি নিয়ে মোদি সরকারকে খোঁচা মমতার