কলকাতা: আজ ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেট পেশ করা হয়। বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক প্রকল্পে জোর দিয়েছেন। এদিকে, ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরের রাজ্য বাজেট পেশের সময় তুমুল স্লোগান বিজেপির।                                                      

অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর বাজেট বক্তৃতায় স্লোগান বিজেপি বিধায়কদের। বিজেপির বিক্ষোভ চলাকালীন বাজেট বক্তৃতা দেন চন্দ্রিমা। বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট বিজেপি বিধায়কদের। পোর্টিকোতে বসে পড়ে স্লোগান দিচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। সে সময়ই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, "প্রতিটি প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের নাম পাল্টে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বার্ধক্যভাতার ৮০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র। অথচ ধার চাই, জিএসটি-র ভাগ চাই। বিজেপি রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর রাজনৈতিক বক্তৃতা শুনতে চায় না। শিশির-পুত্র এদিন বলেন, "বিধানসভায় অসত্য কথা বলছেন, শুনে যেতে হবে?"           

এদিকে, মমতা বলেন, "৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পাই। জিএসটি নিয়ে যাচ্ছে, সেই ভাগ পুরো দিচ্ছে না। রাজ্য থেকে টাকা তুলে নেয়, টাকা দেয় না। তাতে বড় বড় নাম দেয়, কেন্দ্রীয় সরকারের নামে, চিঠি পাঠায়। একমাত্র বেঙ্গল পেনশন দেয়। বিজেপির নেতাদের জানতে হবে। সোফায় বসে জ্ঞান দেয়। বিজেপির কোনও রাজ্য পেনশন দেয় না। চোরের মায়ের বড়বড় কথা। আবার বলছে, গ্যাস-পেট্রোলের দাম বাড়বে। ইকোনমি ফেল করেছে। মানুষের হাতে পয়সা নেই। আমরা মানুষের হাতে পয়সা পৌঁছে দিচ্ছি। সারা বাংলা জুড়ে...তাজপুর, দেউচাপাচামি...অশোনগর ওএনজিসি...৯০ লক্ষ ক্লাস্টার...১০ কোটি লোকের মধ্যে কাজ পাবে। আমরা কয়েককোটি চাকরি তৈরি করতে পারব।"              

বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে তুমুল ঝামেলা চলেছিল প্রথম থেকেই। রাজ্যপালের ভাষণের দিন বারবার ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য সাসপেন্ড করা  হয়েছে পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে।